|
|
|
|
তালা ঝাড়গ্রামের পলিটেকনিকে |
ভর্তি হতে না পেরে ক্ষুব্ধ সাত পড়ুয়া |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ফাইনাল পরীক্ষার মার্কশিট মেলেনি সময়ে। তাই এ বছর ‘জিলেট’ পরীক্ষায় ভাল ফল করেও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়ে পারলেন না জঙ্গলমহলের সাত আদিবাসী ছাত্রছাত্রী। ঝাড়গ্রামের সেবায়তন এলাকার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পলিটেকনিকের ওই ছাত্রছাত্রীরা ক্ষোভে তালা ঝুলিয়েছেন কলেজে। গত ২১ অগস্ট থেকে বন্ধ কলেজ।
পলিটেকনিক পাশ করার পরে জিলেট (ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন ফর ল্যাটেরাল এন্ট্রি) দিয়ে বি টেক-এর দ্বিতীয় বর্ষে সরাসরি ভর্তি হওয়া যায়। এ বার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পলিটেকনিকে চতুর্থ বর্ষের সেমিস্টার পরীক্ষাটি হয় মে মাসে। চতুর্থ বর্ষের বেশ কয়েকজন পড়ুয়া গত ১৬ জুন জিলেট পরীক্ষায় বসেন। ১৫ জুলাই ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায় ঝাড়গ্রামের কন্যাডোবা গ্রামের প্রদীপ মুর্মু আদিবাসীদের মধ্যে ১০ এবং সাধারণদের মধ্যে ৬৬৩ র্যাঙ্ক করেছেন। সিভিল বিভাগের ছাত্র সমরজিৎ মাণ্ডি, বাবুলাল মুর্মু, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের পড়ুয়া চুনারাম হেমব্রম, রঘুনাথ মুর্মু, কানাইলাল সরেন ও মেকানিক্যাল বিভাগের ছাত্রী সোহাগী টুডুরাও কাউন্সেলিং-এ ডাক পান। গত মঙ্গলবার (২০ অগস্ট) যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু পলিটেকনিকের পার্ট টাইম ডিপ্লোমা কোর্সের ফাইনাল সেমিস্টারের মার্কশিট দেখাতে না পারায় সাত জনকেই বাতিল করে দেওয়া হয়।
এরপর ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা বুধবার ২১ অগস্ট পলিটেকনিকের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। তড়িঘড়ি পলিটেকনিক কর্তৃপক্ষ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কারিগরি শিক্ষা সংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আদিবাসী ছাত্রছাত্রী প্রদীপ মুর্মু, কানাইলাল সরেন, সোহাগী টুডুদের দাবি, “পলিটেকনিক কর্তৃপক্ষ ফের শুক্রবার কলকাতায় কাউন্সেলিংয়ে যেতে বলেন। পলিটেকনিকের এক শিক্ষক কারিগরী ভবনে গিয়ে আমাদের সাত জনের মার্কশিট সংগ্রহ করে দেন। কিন্তু কাউন্সেলিংয়ে গেলে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের আধিকারিকেরা জানিয়ে দেন, এখন আর কিছু করার নেই।” প্রদীপ মুর্মুর বক্তব্য, “ঝাড়গ্রাম ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পলিটেকনিক, নাকি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কারিগরি শিক্ষা সংসদ, কার গাফিলতির জন্য আমাদের ভবিষ্যত নষ্ট হতে বসেছে সেটা খতিয়ে দেখা হোক। আমাদের প্রাপ্ত র্যাঙ্ক অনুযায়ী ভর্তির ব্যবস্থা করা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
রবিবার পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদার সঙ্গে দেখা করেন ওই সাত ছাত্রছাত্রী। অবিলম্বে যাতে তাঁরা র্যাঙ্ক অনুযায়ী বি-টেক-এর দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হতে পারেন, সেই দাবি করেন ওই পড়ুয়ারা। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা বলেন, “স্মারকলিপি পেয়েছি। সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলব।” পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ অমিতরঞ্জন ঘটক কলকাতায় থাকেন। রবিবার তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। |
|
|
|
|
|