|
|
|
|
সরকারি প্রশিক্ষণ |
নতুন প্রধানদের সততার সঙ্গে কাজ করার বার্তা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রত্যন্ত বহু গ্রামেই পৌঁছয়নি উন্নয়ন। তাই পক্ষপাতিত্ব ভুলে প্রতিটি মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দিতে হবে। গ্রাম পঞ্চায়েতে নব-নির্বাচিত প্রধান ও উপ প্রধানদের প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই পরামর্শই দিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা থেকে মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি। শনিবার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের নব নির্বাচিত প্রধান-উপপ্রধানদের প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে জেলা পরিকল্পনা ভবনে। ২৯০টি পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার ২৯টি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতিদের প্রশিক্ষণও হবে এই শিবিরেই।
প্রশিক্ষণ শিবিরে এক একটি ধাপে জেলার ৪টি করে ব্লককে বাছা হয়েছে। প্রত্যেককে ৬দিন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রথমে বেছে নেওয়া হয়েছে আইএসজিপি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে। শিবির শুরুর আগে উদ্বোধনে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের রেকর্ড করা বক্তব্য শোনানো হয়। পঞ্চায়েতমন্ত্রীর বক্তব্যেও সঙ্কীর্ণ মানসিকতা ছেড়ে উন্নয়নের কাজে সবার সামিল হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়। মৃগেনবাবু বলেন, “অনেক প্রত্যাশা নিয়ে মানুষ আমাদের এনেছেন। তা পূরণ না করতে পারলে ৫ বছর পর আমাদেরও সরে যেতে হবে। তাই সততার সঙ্গে কাজ করুন।”
রাজ্যের যাবতীয় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে। পঞ্চায়েতের কাজের পরিধি এতটা বড় যে ছ’দিনের প্রশিক্ষণে আদৌ তা সকলকে বোঝানো সম্ভব নয়। একথা স্বীকার করে নিয়ে জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) অরিন্দম দত্ত বলেন, “শিবির থেকে একটা ধারণা দেওয়া যায়। সেই ধারণা থেকে কাজ করতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে সকলেই শিখে যাবেন।” তবে কাজের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হলে পঞ্চায়েতের অভিজ্ঞ কর্মচারী, ব্লক অফিসের কর্মী বা বিডিও, জেলার আধিকারিকদের থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে।
মূলত, পঞ্চায়েত পরিচালনা করতে গেলে কোন বিষয়গুলির উপর গুরুত্ব দিতে হবে, একশো দিনের প্রকল্পের কাজ কী ভাবে করাতে হবে, কী ভাবে টাকা খরচ করতে হয়, ব্যয়ের হিসেব রাখতে হয়, কী কী কাজ একেবারেই করা যাবে না এই সব বিষয়েই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রীর কথায়, “আমি চিকিৎসক ছিলাম। দফতরের কাজই জানতাম না। মন্ত্রী হওয়ার পর ধীরে ধীরে শিখে নিলাম। আপনারাও আগ্রহী হয়ে শিখে নেবেন।” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সুমন ঘোষ, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী, জেলা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন আধিকারিক প্রণব ঘোষ, জেলা পঞ্চায়েত আধিকারিক শম্পা হাজরা প্রমুখ।
পঞ্চায়েতে সমিতির নবনির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে শনিবার জেলা পরিষদ হলে এক সভা করেছে তৃণমূলও। সেখানে দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ও অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেওয়ার বার্তা দেন। তাঁর কথায়, “অন্যায় করলে দল ব্যবস্থা নেবে। কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মনে রাখবেন, সততার সঙ্গে কাজ করলে মানুষ সব সময় আপনার পাশে থাকবেন।” |
|
|
|
|
|