সুইৎজারল্যান্ড থেকে শিলিগুড়ি |
‘চকবল’-এ আগ্রহী স্কুল পড়ুয়ারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
সুইৎজারল্যান্ডের খেলা এ বার এই শহরে। এক বছর আগে রাজ্যে পরিচিতি পাওয়া ‘চকবল’-এ আগ্রহী শিলিগুড়ির বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা। মূলত, সুইৎজারল্যান্ডে প্রচলিত ওই খেলায় মেতে উঠেছে এই শহরের খুদেরা। মাত্র কয়েক দিনের প্রশিক্ষণ নিয়েই কলকাতায় এক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে রানার্স শহরের মেয়েরা। ছেলেদের দল সেমি ফাইনালে হেরে গেলেও নতুন এই খেলায় তারাও উৎসাহী। কলকাতা থেকে জিতে আসা এই প্রতিযোগীদের রবিবার সংগঠনের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এই নতুন খেলাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে শহরের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে এই দিন জানান জেলা চকবল অ্যাসোসিয়েশনের অহ্বায়ক নিলু দত্ত। তিনি বলেন, “আপাতত আমরা পানিট্যাঙ্কি মোড়ের কাছে থাকা একটি ক্লাবের মাঠে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।” এই নতুন খেলাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে শহরের স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান জেলা কমিটির মুখ্য উপদেষ্টা মদন ভট্টাচার্য। তিনি জানান, বিভিন্ন স্কুলের শরীর শিক্ষা বিভাগের শিক্ষকরা রোজ বিকেলে ওই খেলার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। খেলায় প্রতি দলে সাত জন করে সদস্য থাকবে। হাতে বল নিয়ে তিন সেকেন্ডের মধ্যে এক জন অপর জনকে পাশ করবে। কোর্টের দু’প্রান্তে দুই পক্ষের দিকেই ছোট গোল পোস্ট থাকে। পোস্টে জাল টানটান করে বাঁধা থাকে। পোস্টের সামনে কোর্টের মধ্যে ছোট বক্স করাও থাকে। বল জালে লেগে বক্সের বাইরে ফিরে এলে পয়েন্ট হবে। রাজু জসওয়াল, প্রিয়াঙ্কা সাহা, কৌশিক মিত্রর মতো কোচরা উৎসাহীদের শেখাচ্ছেন। দার্জিলিং জেলা চকবল অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি ক্লাবের মাঠে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গত ৬-২০ অগস্ট প্রশিক্ষণের পরে ১২ জন করে দু’টি ছেলে এবং মেয়েদের দুটি দল কলকাতায় যায়। সেখানে রাজ্য চকবল অ্যাসোসিয়েশনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে যে প্রতিযোগিতা হয় তাতে অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সারদামণি বিদ্যাপীঠের ঋতু রায়, হাকিমপাড়া বিদ্যালয়ের প্রতিমা রায়রা জানমান, খেলাটি তাঁদের দারুণ লেগেছে। ছেলেদের দলে থাকা সমীর রায়, অনিমেষ.পাল রাও জানায়, নতুন এই খেলায় তারা উৎসাহী।
|