|
|
|
|
রাজস্থানেও এ বার সফল এসএফআই
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হিমাচল প্রদেশের পরে এ বার
রাজস্থানে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ভোটে বড়সড় সাফল্য পেল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন। যোধপুর ও বিকানেরের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে লড়ে দু’টিরই ছাত্র সংসদের নেতৃত্ব পদে জিতেছে এসএফআই।
রাজ্যের ১২টি জেলায় ছড়িয়ে-থাকা ৮৫টি কলেজের মধ্যে ৬৫টিতে জয় পেয়েছেন এসএফআই প্রার্থীরা। রাজস্থানে আগামী নভেম্বরেই বিধানসভা ভোট। সে রাজ্যে
এখন সিপিএমের তিন জন বিধায়ক আছেন। বিধানসভা ভোটের মাত্র
তিন মাস আগে ছাত্র সংগঠনের
এই সাফল্য উৎসাহ বাড়িয়েছে সিপিএম নেতৃত্বের।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের জেলা জোধপুরের জয়নারায়ণ ব্যস বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএফআইয়ের গোটা প্যানেলই জয়ী হয়েছে। বিকানেরের মহারাজা গঙ্গাসিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এসএফআই থেকে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম জিতল তারা।
হনুমানগড় ও গঙ্গানগর জেলার কলেজগুলির ৯৯% আসনেই সফল এসএফআই। তারানগর, সরদর্শাধার, দিদওয়ানা, ঝুনঝুনু এবং চুরুর পুরনো জায়গাও ধরে রাখা গিয়েছে। ফল ঘোষণার পরে জোধপুরের কোথাও কোথাও এ দিন সংঘর্ষও শুরু হয়ে গিয়েছে। এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “হিমাচলে এবিভিপি এবং রাজস্থানে এনএসইউআই, মূলত বিজেপি ও কংগ্রেসের এই দুই ছাত্র সংগঠনকে দু’রাজ্যে হারাতে পেরেছি আমরা। ছাত্র সংগঠন স্তরেও অ-কংগ্রেস, অ-বিজেপি বিকল্পের চাহিদাই এতে স্পষ্ট।”
আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এসএফআইয়ের ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে সামিল হবে রাজস্থানের ব্রিগেডও। রাজস্থানের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হান্নান মোল্লা এ বারই সিপিএমের কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন, সভাপতি ওই রাজ্যেরই বিধায়ক অমরা রাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ফলের পরে সিপিএম রাজনীতিতে রাজস্থানের গুরুত্ব আরও বাড়বে। |
|
|
|
|
|