প্রাতর্ভ্রমণের সময় শ্লীলতাহানি, দুর্ব্যবহার এবং মারধর করার অভিযোগে রবিবার রবীন্দ্র সরোবর থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল লেক থানার পুলিশ। অভিযুক্তের নাম সঞ্জয় গায়েন। এ দিনই অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে তিনি অবশ্য জামিন পেয়ে যান।
পুলিশ জানায়, এ দিন রবীন্দ্র সরোবরে প্রাতর্ভ্রমণের সময়ে এক মহিলাকে ধাক্কা দেন সঞ্জয়। সেই মহিলা পড়ে যান। কিন্তু মহিলাকে ধাক্কা মারার পরেও সঞ্জয় কোনও রকম দুঃখপ্রকাশ করেননি বলে অভিযোগ। উল্টে, অন্যরা প্রতিবাদ করলে তাঁদের উপরে চড়াও হন তিনি। অভিযোগ, প্রতিবাদকারী এক মহিলা সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। মারধর করেন সুজিতকুমার দাঁ নামে এক ব্যক্তিকেও। সুমিতাদেবী রবীন্দ্র সরোবর লেকের সবুজ বাঁচানোর এক জন সক্রিয় কর্মী। পরে তিনিই লেক থানায় সঞ্জয়ের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।
সুমিতাদেবীর দাবি, মহিলাকে ফেলে দেওয়ার পরে তিনি সঞ্জয় গায়েন নামে ওই ব্যক্তিকে হাঁটার রাস্তায় দৌড়তে বারণ করেন। কিন্তু বারণ করা মাত্রই তিনি তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করেন। সুমিতাদেবীর অভিযোগ, অন্যরা দৌড়লেও তাঁকে কেন শুধু বারণ করা হচ্ছে, এই বলে সঞ্জয় প্রথমে তর্ক শুরু করেন। ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। প্রথমে কথা কাটাকাটির পরে ওই ব্যক্তি অন্য দিকে চলে যান। কিন্তু কিছু পরে ফের ফিরে এসে অশ্রাব্য ভাষায় তিনি সুমিতাদেবীকে গালিগালাজ করতে থাকেন ও হুমকি দেন। তখন অন্যরা সুমিতাদেবীর হয়ে প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন। অভিযুক্ত তখন সুমিতাদেবীকে ছেড়ে প্রতিবাদকারীদের মধ্যে থাকা সুজিতকুমার দাঁ নামে এক ব্যক্তিকে ধাক্কা দেন এবং মারধর করেন বলে অভিযোগ। সাতসকালে লেকের ভিতরে এমন ঘটনায় প্রাতর্ভ্রমণে আসা লোকজন হতভম্ব হয়ে যান। কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন সুমিতাদেবী। ছিল লেক থানার পুলিশও। সুমিতাদেবী-সহ অন্যরা তাঁদের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানান। ঘটনাস্থল থেকেই সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। |