বন্ধ হোটেলে মিলল এক বৃদ্ধের মৃতদেহ। শনিবার রাতে, নারকেলডাঙা মেন রোডের ঘটনা। পুলিশ জানায়, বৃদ্ধের গোড়ালি ও হাতের আঙুলে ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, শনিবার রাতে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হলেও পুলিশকে খবর দেওয়া হয় রবিবার সকালে। দেরির কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মৃত গৌর চট্টোপাধ্যায় ওরফে বুড়ো (৬৫) ওই হোটেলেরই কেয়ারটেকার। চার বছর ধরে বন্ধ হোটেলটিতে গৌরবাবু একাই থাকতেন। শনিবার রাতে হোটেলের মালিক প্রকাশ সিংহ তাঁকে খাবার দিতে এসে দেখেন, দরজা বন্ধ। সাড়া না পেয়ে বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খুলে ঢুকে দেখেন মেঝেতে পড়ে রয়েছেন গৌরবাবু। |
প্রকাশবাবু পুলিশকে জানান, বন্ধ হোটেলটি দেখাশোনার জন্যই তিনি গৌরবাবুকে রেখেছিলেন। ওই রাতে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে তিনি বৃদ্ধের ভাইপো ইন্দ্রজিৎকে খবর দেন। ইন্দ্রজিৎ জানান, রাতেই তাঁরা ডেথ সার্টিফিকেট জোগাড়ের চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, কোনও চিকিৎসক ডেথ সার্টিফিকেট দিতে রাজি না হওয়ায় দেহটি সারা রাত হোটেলেই পড়ে ছিল। রবিবার সকালেও তাঁরা ফের চিকিৎসকের খোঁজ করেন। কিন্তু কাউকে পাননি।
এ দিন এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে ডাকেন প্রকাশ ও ইন্দ্রজিৎ। পুলিশ জানায়, ক্ষতচিহ্ন দেখে ওই চিকিৎসকও ডেথ সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করেন। তার পরেই খবর যায় পুলিশে। কেন শনিবারই পুলিশকে জানানো হল না? ইন্দ্রজিৎ জানান, তাঁরা ধরে নিয়েছিলেন কাকার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার গৌরবাবুর দেহে কোনও ক্ষত ছিল না বলে ইন্দ্রজিতের দাবি। পুলিশের অনুমান, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের এক কর্তা জানান, দেহটি সারা রাত পড়ে থাকায় সম্ভবত ইঁদুর পা ও হাতের মাংস খুবলে নিয়েছে। |