চালক ও খালাসিকে খুন করে ট্রাক ভর্তি চাল নিয়ে দুষ্কৃতীরা বিহারে পালিয়ে গিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং চালক ও খালাসির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে শনিবার রাতে ও রবিবার সকালে দফায় দফায় সাঁইথিয়া-সিউড়ি, সাঁইথিয়া-মহম্মদবাজার, সাঁইথিয়া-বহরমপুর রাস্তা অবরোধ করেন ট্রাক শ্রমিক সংগঠন ও ক্ষুব্ধ লোকজন। পুলিশের মধ্যস্থতায় ট্রাক মালিকদের পক্ষ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পরে অবরোধ উঠে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার বিকেলে বোলপুরের একটি চালকল থেকে চাল বোঝাই করে বিহারের কাটিহারে যাচ্ছিল ট্রাকটি। বৈচি থানা এলাকার কাছে ওই রাতে দুষ্কৃতীরা ট্রাকটি ছিনতাই করে। সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বারহাট থানা এলাকায় চাল লুঠ করে ট্রাক ফেলে পালায় দুষ্কৃতীরা। |
ট্রাক মালিক মহম্মদবাজারের নিখিল মণ্ডলের আত্মীয় রবি ঘোষ বলেন, “রবিবার রাতে কাটিহারে পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু ট্রাক সময় মতো না পৌঁছনোয় চিন্তা হচ্ছিল। কোনও ভাবেই যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। যে জায়গায় লুঠ হয়েছে, সেখানকার লোকেরা ট্রাকের গায়ে লেখা মোবাইল নম্বর থেকে আমাদেরকে খবর দেন। আমরা ওখানকার পুলিশকে জানাই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে বৈচি থানা এলাকার জঙ্গল থেকে চালক বলরাম লোহার (৪০), সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে আরও একটি জঙ্গল থেকে খালাসি নারায়ণ মণ্ডলের দেহ উদ্ধার হয়।” ময়না তদন্তের পরে শনিবার রাত ১০টা নাগাদ দেহ দু’টি নিয়ে এলে ট্রাক শ্রমিক সংগঠন ও ক্ষুব্ধ লোকজন ফের অবরোধ শুরু করেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে রাতে অবরোধ উঠে যায়। কিন্তু রবিবার ফের তাঁরা অবরোধ করেন। আশ্বাস পাওয়ার দু’ঘণ্টা পরে অবরোধ উঠে যায়। আইএনটিইউসির বীরভূম জেলা সভাপতি মৃণাল বসু বলেন, “চালক বলরামবাবুর বাড়ি ময়ূরেশ্বর থানার মহিষাচট্টি ও খালাসি নারায়ণবাবুর বাড়ি ওই থানার আমড়া গ্রামে। এমন ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বিহার ও আমাদের রাজ্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য দাবি জানানো হবে।” অন্য দিকে, শনিবার এক বাস কর্মীকে মারধরের অভিযোগে রবিবার সকালে সাঁইথিয়া-সিউড়ি রাস্তার ইটাগড়িয়াতে একটি বাসের কর্মীকে মারধরের অভিযোগে কিছুক্ষণ পথ অবরোধ হয়। |