এক মহিলা ও দুই শিশুকন্যার দগ্ধ দেহ মিলল শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের ঘরে। বর্ধমানের কাঁকসায় রবিবার সকালে উদ্ধার হওয়া দেহগুলির পায়ে দড়ি বাঁধা ছিল। রাত পর্যন্ত মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি।
জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, অন্য কোথাও খুন করে দেহগুলি সেখানে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে বলে তাঁদের অনুমান।
কাঁকসার চারশো মোড়ের কাছে বন্ধ এইচএফসিএল কারখানার আবাসনের পাশে ‘সেতুবন্ধ স্কুল’ চালায় একটি বেসরকারি সংস্থা। জায়গাটি দুর্গাপুর শহর লাগোয়া। স্কুলের কাছাকাছি বিশেষ জনবসতি নেই। |
শিক্ষাকেন্দ্রে পড়ে আছে দগ্ধ দেহ। রবিবার কাঁকসায়। ছবি: বিশ্বনাথ মশান। |
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ কয়েক জন ওই স্কুল থেকে পোড়া গন্ধ পান। কাছে গিয়ে দেখেন, ভিতরে পড়ে থাকা তিনটি দেহ থেকে তখনও অল্প ধোঁয়া বেরোচ্ছে। খবর পেয়ে দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে কাঁকসা থানার পুলিশ গিয়ে দেহগুলি ময়না-তদন্তের জন্য দুর্গাপুর হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ জানায়, মহিলার আনুমানিক বয়স ২৭-২৮ বছর। শিশু দু’টি বছর পাঁচেক ও মাস ছয়েকের। মুখ পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ায় তাঁদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশের অনুমান, তিন জনকেই অন্যত্র খুন করে ওই স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরে দেহ চট, প্লাস্টিকে মুড়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরিচয় লোপাটের জন্যই এমন করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অন্য নানা সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও পরিবারের তিন জন নিখোঁজ হয়েছেন কি না জানতে আশপাশের থানাগুলিকে খবর দেওয়া হয়েছে। |