এক রোগীর মৃত্যু ঘিরে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুললেন রোগীর পরিজনেরা। শুক্রবার বিকেলে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের ঘটনা। ওই ঘটনায় মৃতের পরিজনেরা হাসপাতালে ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ দেখান। হাসপাতালের সুপার অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় নির্মিয়মান বহুতল বাড়িতে কাজ করার সময়ে এক যুবক তড়িদাহত হন। সহকর্মীরা রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় খায়ের শেখ (২০) নামে মাড়গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবকের। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে উপযুক্ত পরিষেবা না পেয়েই খায়েরের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগকারীদের মধ্যে মহম্মদ গোলাম জাকেরিয়া, সামসের শেখদের দাবি, “খায়েরকে জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ভর্তি করে পুরুষ বিভাগে পাঠান। কিন্তু সেখানে কোনও চিকিৎসক তাঁকে দেখেনি। এমনকী, কর্তব্যরত নার্সেরা খায়েরকে অক্সিজেন দিতেও দেরি করে।” রোগীর পরিজনেরা জানান, চিকিৎসায় দেরি হওয়াতেই ওই যুবককে বাঁচানো যায়নি। তাঁদের সাফ কথা, “ঠিক ভাবে চিকিৎসা হলে খায়েরকে বাঁচানো যেত। কিন্তু জরুরি রোগীর ক্ষেত্রে যে ধরনের পরিষেবা দেওয়া দরকার তা দেওয়া হয়নি।” মহকুমা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কেন দু’জন চিকিৎসক নেই, তা নিয়েও মৃতের পরিজনেরা প্রশ্ন তুলেছেন। খায়েরের মৃত্যুর পরেই তাঁর আত্মীয় পরিজনেরা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। |
এ দিকে হাসপাতালের সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে জরুরি বিভাগে ওই রোগীকে দেখার ক্ষেত্রে গাফলতির যে অভিযোগ উঠছে, তা ঠিক নয়। ওই যুবকের অবস্থা প্রথম থেকেই আশঙ্কাজনক ছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসার ১৫ মিনিটের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।” তাঁর আরও দাবি, হাসপাতালে দীর্ঘ দিন ধরে চিকিৎসকের অভাব থাকায় জরুরি বিভাগে দু’জন চিকিৎসক রাখা যাচ্ছে না। |