টুকরো খবর
আইটিইউ চালুর পরিকল্পনা রোগী কল্যাণ সমিতির
সঙ্কটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসার জন্য কোচবিহার জেলা সদরের এমজেএন হাসপাতালে ইনটেনসিভ থেরাপিউটিক ইউনিট (আইটিইউ) চালুর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করল রোগী কল্যাণ সমিতি। শুক্রবার হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে হাসপাতালের হেরিটেজ ভবনের একাংশ সংস্কার করে আইটিইউ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জেলা হাসপাতালে ওই ইউনিট চালুর ছাড়পত্র পাঠায়। তার ভিত্তিতেই এদিনের বৈঠকে ওই ইউনিট চালুর জায়গা বাছাইয়ের বিষয়টি ঠিক হয়। সমিতির চেয়ারম্যান তথা বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “উন্নত পরিষেবা দিতে আইটিইউ চালুর বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছি।” হাসপাতালের সুপার জয়দেব বর্মন জানান, হৃদরোগ, দুর্ঘটনায় জখম, সাপে কাটা-সহ বিভিন্ন কারণে আশঙ্কাজনক রোগীদের ভেন্টিলেটর-সহ আনুষঙ্গিক পরিকাঠামো দরকার। আইটিইউ হলে ওই সুবিধা মিলবে। বৈঠকে শহর লাগোয়া রাজারহাটে জেডি হাসপাতাল চত্বরে অব্যবহৃত জমি ব্যবহার করে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব গড়ার ব্যাপারেও স্বাস্থ্য দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলাশাসক মোহন গাঁধী জানান, গর্ভবতী মায়েদের পাশাপাশি শিশুদের এক ছাতার নিচে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে ওই পরিকল্পনা হয়েছে। এদিনের বৈঠকে নতুন জায়গায় নায্য মূল্যের ওষুধের দোকান সরিয়ে আনা, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের দেওয়া জেনারেটর চালুর জন্য ওয়্যারিং করা, রোগীর আত্মীয়দের থাকার পরিকাঠামো গড়ে তোলার মত কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আমরি মামলা দায়রায় কেন, উঠছে প্রশ্ন
ঢাকুরিয়ায় আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের মামলাটি দায়রা আদালতে বিচারের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অভিযুক্তদের তরফে আবেদন করা হয়েছে। বিবাদী পক্ষের প্রশ্ন, এই মামলা আদৌ দায়রা আদালতে যাবে কেন? আলিপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে শুক্রবার তাদের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে মাত্র দিন কয়েক আগে সেখানে নতুন বিচারক আসায় শুনানি পিছিয়ে যায়। এই মামলায় আইনের যে-সব ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে, তা দায়রা আদালতের বিচার্য। সরকার পক্ষের আইনজীবী শক্তি ভট্টাচার্য এ দিন বিচারক সন্দীপকুমার মান্নার এজলাসে মামলাটি দায়রা আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে তৎপর হন। কিন্তু অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অলোক সেনগুপ্ত, সেলিম রহমানেরা তাঁদের আবেদনের শুনানি না-হওয়া পর্যন্ত মামলাটি পাঠানোর পর্ব মুলতুবি রাখার আবেদন জানান। তাঁদের বক্তব্য, মামলায় এমন কিছু আইনের ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে, যা আদৌ যুক্তিযুক্ত নয়। আইনের যথাযথ ধারা প্রয়োগ করা হলে তা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বিচারের এক্তিয়ারভুক্ত হত।

পুরনো খবর:
জল শুদ্ধকরণে নয়া পদ্ধতি
কলকাতার ৩৩৮২টি পরিবারকে বেছে নিয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন্স স্টাডিজ রিসার্চ সেন্টার। জলভর্তি বোতল ৬ ঘণ্টা সূর্যালোকে রাখার পরে সেন্টারের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। সেন্টারের গবেষকদের দাবি, দেখা গিয়েছে এই পদ্ধতিতে জলের শুদ্ধকরণ ঘটেছে। সেন্টারের দাবি, এ ভাবে বাড়িতেই পানীয় জলের শুদ্ধকরণ সম্ভব। কলকাতা-সহ রাজ্যের ৬টি জেলার বিভিন্ন পরিবারে এই পদ্ধতি ব্যবহার করানো হয়েছে। এতে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি টাকাও বাঁচবে বলে মনে করছেন সেন্টারের ডিরেক্টর ঈশিতা মুখোপাধ্যায়। সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে জলবাহিত রোগে শিশুমৃত্যুর হার বেশি। রোগ এড়াতে বিশুদ্ধ পানীয় জল প্রয়োজন। সূর্যের আলোতেই তা সম্ভব। ঈশিতাদেবী বলেন, “রাসায়নিক বা যন্ত্র লাগবে না। স্বচ্ছ বোতলে জল ভরে ৬ ঘণ্টা সূর্যের আলোয় রাখলে আপনা থেকেই তা বিশুদ্ধ হবে।” তিনি আরও জানান, বোতলের মাপ হতে হবে ৫০০ মিলিলিটার থেকে ২ লিটার পর্যন্ত। সেন্টারের তরফে বলা হয়েছে, সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি জলের অক্সিজেন ভেঙে ৫-৬ ঘণ্টায় সুপার অক্সাইড তৈরি করে। যা জলে থাকা ব্যাকটেরিয়ার কোষকে ধ্বংস করে। শুদ্ধ হয় জল।

মজুরি বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ
মজুরি বাড়ানোর দাবিতে শুক্রবার আন্দোলনে নেমেছিলেন এসএসকেএমে খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। ওয়ার্ডে খাবার পৌঁছে দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। অভিযোগ, সরকারি তরফে নানা ঘোষণা সত্ত্বেও এখনও তাঁদের ন্যূনতম মজুরি দেওয়া হয় না। বহু আবেদনেও ফল না হওয়ায় তাঁরা ওয়ার্ডে খাবার পরিবেশন বন্ধ রাখবেন বলে জানান। পরে পরিবহণমন্ত্রী তথা এসএসকেএম-এর ভারপ্রাপ্ত মদন মিত্রের হস্তক্ষেপে আন্দোলন স্থগিত থাকে। কর্মীদের সঙ্গে আলোচনার পরে মদনবাবু বলেন, “যাঁরা খাবার পরিবেশন করেন, তাঁদের জন্য সরকার শীঘ্রই ন্যূনতম মজুরি বরাদ্দ করছে। কিন্তু নিজেদের দায়িত্ব পালন না করে আন্দোলন করা কোনও ভাবেই বরদাস্ত হবে না। হাসপাতাল আন্দোলন করার জায়গা নয়।” ওই সংস্থার কর্মীরা জানিয়েছেন, মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে আপাতত আন্দোলন স্থগিত থাকছে। তবে দাবি পূরণ না হলে ভবিষ্যতে লাগাতার আন্দোলনের পথে যাওয়া হবে।

পেটেই ক্যাথিটার
অস্ত্রোপচারের পরেও পেটের ব্যথা কমছিল না সুমিত্রা পালের। চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, দিন কয়েক পরে কমে যাবে। শেষে পরীক্ষায় জানা গেল, ব্যথার উৎস ক্যাথিটার। অস্ত্রোপচারের পরে তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে বার না করায় থেকে যায় শরীরেই। শুক্রবার ফের অস্ত্রোপচার করে ক্যাথিটারটি বার করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনাস্থল এনআরএস-এর স্ত্রী-রোগ বিভাগ। গত ৩১ জুলাই জরায়ুতে অস্ত্রোপচার হয় সুমিত্রাদেবীর। তার পরেই এই ক্যাথিটার-বিভ্রাট। সুমিত্রদেবীর মেয়ে মৌমিতা পালের অভিযোগ, নিজেদের ভুল ঢাকতেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি চিকিৎসকেরা। এমনকী বার বার বলা সত্ত্বেও ক্যাথিটারের পাইপটি পেট থেকে বার করতে তাঁরা অনেক সময় নিয়েছেন বলে অভিযোগ। হাসপাতালের সুপার শাশ্বতী মজুমদার জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না তিনি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.