হাওড়ার শরৎ সদনে সমবেত সঙ্গীতের পর মঞ্চে এলেন আবৃত্তি শিল্পী ঈশিতা দাস অধিকারী। নিজস্ব বাচনভঙ্গি ও গভীর আকুলতায় ‘ভারততীর্থ’ থেকে শুরু করে ‘তেজ’ প্রতিটি কবিতায় শব্দ ও অনুভবের ব্যঞ্জনা যেন জাগরিত করে প্রত্যেক শ্রোতার হৃদয়কে। বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ও মধুমিতা বসু ছিলেন শ্রুতিনাটক পাঠে। সফল নিবেদন। সব শেষে মঞ্চে এলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুছন্দা ঘোষ। সেদিন সুছন্দা শোনালেন ‘আকাশ ভরা’, ‘আমার মন বলে চাই চাই’, ‘বিপুল তরঙ্গ রে’, ‘মম চিত্তে’, ‘ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা’, ‘পুরানো সেই দিনের কথা’ গানগুলি। অসাধারণ পরিবেশনা। অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মধুমিতা বসু। আয়োজক ‘পশ্চিমবঙ্গ পরিবেশ দপ্তর’।
|
সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতা সাংস্কৃতিক চক্র আয়োজন করেছিল ‘বৃষ্টি নেশা ভরা সন্ধ্যাবেলা’। গান শোনালেন অনুশীলা বসু, স্বাতী ভট্টাচার্য, সুস্মিতা দাস প্রমুখ। কেন হঠাৎ বর্ষা অনুষ্ঠানে ‘আমার পরাণ যাহা চায়’ গানটির ইংরাজি অনুবাদ গাওয়া হল বোঝা গেল না। ইংরাজি উচ্চারণও অত্যন্ত খারাপ। দ্বিতীয়ার্ধে ছিল নৃত্যগীতি আলেখ্য ‘রবিপ্রিয়া’। পরিচালনায় অভিজিৎ ঘোষ। নৃত্য পরিচালনায় সুমিতা ঘোষ। দর্শকের মনে প্রশ্ন জাগে কে এই রবিপ্রিয়া? অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্তে উন্মোচিত হল তিনি কোনও মানবী নন। রবীন্দ্রনাথের সবচেয়ে ভাললাগা, ভালবাসার ঋতু বর্ষা। কবির অনুভূতি সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন অভিজিৎ ঘোষ ‘আমার প্রিয়ার ছায়া’, ‘এমন দিনে তারে’ প্রভৃতি গানে। সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাইলেন ‘অনেক কথা বলেছিলেম’। পাঠে ছিলেন মধুমিতা বসু এবং অমিত চক্রবর্তী।
|
সম্প্রতি শরৎ সদনে ‘হাওড়া কালচারাল কয়্যার’-এর অনুষ্ঠানে গান শোনালেন নবীন ও প্রবীণ শিল্পীরা। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন পর্যায়ের গানগুলি গাইলেন তাঁরা। পরবর্তী পর্যায়ে ১২ জন শিল্পীর কণ্ঠে শোনা গেল রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন কবিতার পাঠ। তবে এ দিন সমবেত সঙ্গীত ও নৃত্যে নজর কেড়েছে কালচারাল কয়্যার, মাকড়দহ নৃত্যাঙ্গন, ছন্দশ্রী সহ অনেকেই। অনুষ্ঠান সংযোজনায় ছিলেন নবনীতা দে, সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, সাথী বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশ চক্রবর্তী। |