লগ্নি সংস্থার কর্তা উধাও, বাবা-মাকে অপহরণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
মাস ছয়েক ধরে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষ পর্যন্ত পাওনাদারদের এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদারে ধুলিয়ানের এক লগ্নি সংস্থার কর্তা। শুক্রবার দিঘরি গ্রামে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে লগ্নি সংস্থার ওই কর্তাকে না পেয়ে তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে গ্রাহকেরা। এ দিন পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন সেকেন্দার আলি নামে ওই অর্থ-লগ্নি সংস্থার কর্তার বোন আম্বিয়া নাসিরা। লগ্নি সংস্থার কর্মকর্তার বাড়িতে আমানতকারীদের ভাঙচুরের ঘটনা নতুন নয়। সারদা-কাণ্ডের পরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছোট-মাঝারি বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার দফতরে এমন ঘটনার নজির থাকলেও অপহরণের ঘটনা নজিরবিহীন। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে অপহৃত ওই দুই প্রবীণের খোঁজে পুলিশ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে তল্লাশি শুরু করেছে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “অপহৃতদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের সূত্রে অপহরণকারীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”এ দিন সকালে অপহরণের পরে নাসিরার মোবাইলে ফোন করে অপহরণকারীরা পাওনা টাকা ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত সেকেন্দারের বাবা শিস মহম্মদ এবং মা হাসনারা বিবিকে ছাড়া হবে না বলে জানিয়েছে। ২০০৭-এ চড়া সুদের টোপ দিয়ে লগ্নি সংস্থা খুলেছিলেন সেকেন্দার। আমানতকারীদের দাবি, পাঁচ বছরে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা তুলেছিলেন তিনি। স্থানীয়রা জানান, প্রথম দিকে প্রতিশ্রুতি মতো টাকা দিয়েছেন সেকেন্দার। কিন্তু গত এক বছরে বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেও আমানতকারীদের টাকা ফিরিয়ে দেননি তিনি। অভিযোগ, স্থানীয় এজেন্টদেরও একই ভাবে প্রতারিত করে আসছিলেন তিনি।
|
আমানতকারীদের কাছ থেকে চড়া সুদের টোপ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পুলিশ এক লগ্নি সংস্থার দুই কর্তাকে গ্রেফতার করল। কৃষ্ণনগরের গোল্ডম্যান ইন্টারন্যাশনাল নামে ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কুনাল চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বাবা ডিরেক্টর শিবনাথ চট্টোপাধ্যায়কে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার তারাতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার তাঁদের কৃষ্ণনগর জেলা আদালতের এসিজেএম শুভজিৎ বসুর এজলাসে তোলা হয়। বিচারক এ দিন তাঁদের দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
|
বানভাসি জঙ্গিপুরের ৬টি গ্রাম |
রঘুনাথগঞ্জে অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়ের তোলা ছবি। |
পদ্মার জলে ভাসল ভারত-বাংলাদেশের বিএসএফের দুই সীমান্ত চৌকি-সহ জঙ্গিপুরের ৬টি গ্রাম। প্রায় ১ হাজার পরিবার জলবন্দি। ৭টি প্রাথমিক ও জুনিয়র হাইস্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহু পরিবার দোনালিয়া জুনিয়র হাইস্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখালিপুর, সম্মতিনগর ও বড়শিমুল গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই ৬টি গ্রাম হল চাঁদপুর, শিমুলতলা, কাটাখালি, বাহুরা, জোতসুন্দর ও ডিহিপাড়া। বন্যার্তদের দ্রুত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। |