ভর্তুকি মেলেনি, বিপাকে চাষিরা
মিলছে না ভর্তুকির টাকা। ফলে চাষের জন্য পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগের টাকা না পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। মহিষাদল ব্লকের প্রায় তেরো জন চাষির অধিকাংশই সাত মাস ঘুরেও ভর্তুকির টাকা না পাওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে।
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে জমিতে জলসেচের কাজে ব্যবহৃত পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য চাষিদের এককালীন সরকারি সাহায্য দেওয়ার প্রকল্প চালু হয়। ঠিক হয়, চাষের জন্য জল প্রকল্পে ব্যবহৃত পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য চাষিদের ৮ হাজার টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ হর্ষশক্তির বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হবে। গত ২২ জানুয়ারি এই মর্মে একটি নির্দেশিকা মহিষাদল ব্লকে পৌঁছয়। সেই মতো গড়কমলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অলোক করন, প্রণব দাস বায়েন, ইটামগরা ১ পঞ্চায়েতের গোপালকুমার সেনি সহ বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩জন চাষি ওই সরকারি সহায়তা পাবেন বলে ঠিক হয়। বিদ্যুৎ দফতরকে পুরো টাকা দিয়ে সংযোগ নেন ওই চাষিরা। পরবর্তীকালে কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে ওই চাষিদের আট হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। তাঁরা ওই চেক নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরে যান। কিন্তু বিদ্যুৎ দফতর থেকে তাঁদের বলা হয়, একমাত্র বিদ্যুতের স্থায়ী সংযোগের ক্ষেত্রেই তাঁরা এই সুবিধা পাবেন। ফলে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
বিদ্যুৎ দফতরের সাব স্টেশন ম্যানেজার অশোক মান্নার দাবি, আমাদের কাছে কেবলমাত্র বিদ্যুতের স্থায়ী সংযোগের ক্ষেত্রে সাহায্য দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা রয়েছে। কিন্তু ওই চাষিরা প্রত্যেকেই আগে থেকে অস্থায়ী বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে বিদ্যুতের বিলে ভর্তুকির টাকা যোগ করতে চাইছেন। সেটা দেওয়া সম্ভব নয়। চাষিদের মধ্যে অনেকে দফতরের নজর এড়িয়ে ভর্তুকির টাকা পেয়েছে। সে বিষয়ে খতিয়া দেখা হবে। তবে গড়কমলপুরের কাঁকুড়দার অলোক করন বলেন, “আমাদের যেভাবে কৃষি দফতর বলেছে সেভাবেই আমরা এগিয়েছি । এখন টাকা না পেলে আমরা গরীব চাষিরা কি করব জানি না।” যদিও ব্লক কৃষি দফতরের আধিকারিক মৃণালকান্তি বেরার দাবি, প্রথম পর্যায়ের নির্দেশিকায় সাহায্য দেওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যুতের স্থায়ী বা অস্থায়ী সংযোগের কথা কিছুই লেখা ছিল না। বিদ্যুৎ বন্টন দফতর সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনাও হয়েছিল। পরে বিদ্যুৎ দফতর কেবলমাত্র বিদ্যুতের স্থায়ী সংযোগের ক্ষেত্রে সাহায্য দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। তাই প্রথম পর্যায়ে যারা ভর্তুকি পেয়েছে সেই চাষিদের সুযোগ দেওয়া উচিত।” অবশ্য বিডিও প্রদ্যুতকুমার পালই বলেন, “ অভিযোগ এসেছে। আমি বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.