|
|
|
|
মারধরে অভিযুক্ত টিএমসিপি নেতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
এ বার ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজে আবাসিক ছাত্রদের মারধর করার অভিযোগ উঠল টিএমসিপি নেতা সৌমেন আচার্য ও তাঁর সঙ্গী সাথীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে সংগঠনের প্রাক্তন জেলা সহ-সভাপতি সৌমেন ও তাঁর সঙ্গী সোমনাথ দে-কে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের ধারায় গ্রেফতার করে পুলিশ। সন্ধ্যায় অবশ্য দু’জনকেই ব্যক্তিগত জামিনে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রাজ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিমাইচাঁদ মাসান্ত বলেন, “কলেজের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরা আমার কাছে অভিযোগ করে জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরে বহিরাগতেরা কলেজ চত্বরে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করায় সকলে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।”
আবাসিক পড়ুয়াদের অভিযোগ, কলেজের হস্টেলে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে আবাসিক ছাত্রদের গুরুত্ব না দিয়ে বহিরাগত টিএমসিপি নেতা সৌমেন আচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার হস্টেলে ভর্তি সংক্রান্ত মেরিট লিস্ট প্রকাশ করেন কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ আবাসিক ছাত্ররা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিমাইচাঁদ মাসান্তের কাছে অভিযোগ করেন। এরপরই সৌমেন ও তাঁর দলবল হস্টেলে চড়াও হয়ে আবাসিকদের মারধোর করেন বলে অভিযোগ।
শুক্রবার আবাসিক পড়ুয়ারা কলেজে এলে ফের সেখানে তাঁদের উপর সৌমেন ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা চড়াও হন বলে অভিযোগ। এরপরই কলেজ চত্বরে তুমুল গোলমাল শুরু হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ ঝাড়গ্রাম থানায় খবর দেন। কলেজের এক আবাসিক ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে সৌমেন ও সোমনাথকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত এসপি ভারতী ঘোষ বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।” গত এক বছরে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সংগঠনকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন সৌমেন। তাই গত ১৮ ফেব্রুয়ারি টিএমসিপি’র জেলা সহ সভাপতির পদ থেকে সৌমেনকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
টিএমসিপি’র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, “৬ মাস আগেই সৌমেনকে সাংগঠনিক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিন কলেজের ঘটনাটি সাংগঠনিক স্তরে খতিয়ে দেখছি।” |
|
|
|
|
|