|
|
|
|
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় |
ভর্তির দিন পিছিয়ে যাওয়ায় বিতর্ক
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ভর্তির কাউন্সিলিংয়ের দিন পিছিয়ে যাওয়া বিতর্ক দেখা দিয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে গুঞ্জন, ২৭ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস রয়েছে বলেই ভর্তির দিন বদলে দেওয়া হয়েছে।
ঠিক ছিল, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্সে ভর্তির জন্য কাউন্সিলিং শুরু হবে ২৬ অগস্ট। চলবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সেই মতো নোটিসও বের হয়। কিন্তু, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়ে জানিয়েছেন, ২৭ অগস্ট কাউন্সেলিং হবে না। পরিবর্তে ৬ সেপ্টেম্বর ওই দিনের ৬টি বিষয়ের কাউন্সিলিং হবে। আর তাতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ২৭ অগস্ট টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলায় সমাবেশ রয়েছে। প্রধান বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই প্রতিষ্ঠা দিবসের জন্যই ভর্তির দিন পিছনো হয়েছে সরাসরি এমন অভিযোগ করছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোও। তাদের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থরক্ষা না করে টিএমসিপির স্বার্থরক্ষা করছে। ধর্মতলার সমাবেশে যাতে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা যোগ দিতে পারে, সে জন্যই ওই দিন পরিবর্তন।
ছাত্র সংগঠনের স্বার্থরক্ষা করার জন্যই কী ভর্তির দিন পরিবর্তন করতে হল? বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী তা মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, “অন্য সমস্যা থাকায় কাউন্সিলিংয়ের দিন পরিবর্তন করতে হয়েছে।” কী সেই সমস্যা? উপাচার্যের মন্তব্য, “ওই দিন একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং রয়েছে। আর আমিও মেদিনীপুরে থাকছি না।” একই বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পিজি সেক্রেটারি আবদুর রহিমের। যদিও কর্তৃপক্ষের ‘আভ্যন্তরীন সমস্যা’র দাবি উড়িয়ে এ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডার সরাসরি অভিযোগ, “২৭ অগস্ট টিএমসিপির সমাবেশ রয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তির দিন পিছিয়ে দিয়েছেন।” ছাত্র পরিষদের (সিপি) জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল বলেন, “নজিরবিহীন ঘটনা। শিক্ষাক্ষেত্রে এ কীসের ইঙ্গিত?” ডিএসও’র জেলা সম্পাদক ভীম মণ্ডলও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের চাপেই কী দিন পরিবর্তন? টিএমসিপির জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি তা মানতে চাননি। তিনি বলেন, “কবে কাউন্সেলিং হবে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার।” তবে টিএমসিপির এক জেলা নেতা অবশ্য মানছেন, “সমাবেশের দিন কাউন্সেলিং না করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিক অনুরোধ করেছিলাম। কারণ, ওই দিন আমাদের কোনও কর্মীই থাকবেন না। সকলে সমাবেশে যাবেন। ভর্তিতে যদি কারচুপি হয়!” |
|
|
|
|
|