দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে বোড়াল মেন রোড। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বার বার আবেদন জানিয়েও কোনও সাড়া মেলেনি। যদিও পূর্ত বিভাগের সাফাই, বৃষ্টির জন্য আটকে আছে মেরামতির কাজ।
কলকাতা পুর এলাকার সঙ্গে রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকার প্রান্তিক ওয়ার্ডগুলোর যোগাযোগ রক্ষা করছে বোড়াল মেন রোড। রাস্তাটি কলকাতা পুরসভার ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে গিয়ে বোড়ালে মিশেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই রাস্তায় প্রতি দিন প্রবল
যানজটের জেরে পাঁচ মিনিটের পথ পেরতে লাগে কুড়ি মিনিট।
|
বোড়াল, শ্রীপুর, বনহুগলি সংলগ্ন এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা নিয়মিত এই পথ দিয়েই গড়িয়া এলাকায় যাতায়াত করেন। এই পথ দিয়েই যেতে হয় বোড়াল শ্মশান এবং যক্ষ্মা হাসপাতাল। এই রাস্তার উপরেই রয়েছে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি স্কুল। স্থানীয় বাসিন্দা কল্যাণ মিত্রের কথায়: ‘‘বহু বার শুনেছি রাস্তা সংস্কার হবে। হয়নি কিছুই। কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত
কোনও প্রতিশ্রুতির প্রতি আর আস্থা নেই।” ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, “রাস্তাটি পূর্ত দফতরের। সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের কাছে মেরামতির জন্য আবেদন করেছি। বাসিন্দাদের যাতায়াতে অসুবিধের কথাও তাঁদের জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।”
এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বোড়াল মেন রোডে রাস্তার উপরেই গজিয়ে উঠেছে অটো ও রিকশাস্ট্যান্ড। পথের পাশের দোকানের পসরা নেমে এসেছে ফুটপাথ অবধি।
জায়গায় জায়গায় খানাখন্দে ভরা। রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে গর্তে জমে রয়েছে জল। কোথাও বেরিয়ে রয়েছে মাটির নীচে থাকা জলের পাইপের অংশবিশেষ। যানবাহনের গা ঘেঁষেই বিপজ্জনক ভাবে যাতায়াত করছেন পথচারীরা। |
পূর্ত দফতর (আলিপুর ডিভিশন) সূত্রে জানা গিয়েছে, বোড়াল মেন রোডের দু’পাশে জলনিকাশির উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। ফলে বর্ষায় বিভিন্ন জায়গায় জল জমেও রাস্তার পিচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই উপযুক্ত নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে না উঠলে এই রাস্তা মেরামত করলেও তা কতটা স্থায়ী হবে তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা। বোড়াল মেন রোড দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য পূর্ত দফতরের আলিপুর ডিভিশন। সংশ্লিষ্ট দফতরের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার সিদ্ধার্থ মণ্ডল বলেন, “বর্ষার জন্য কাজ আটকে আছে। পুজোর আগেই ওই রাস্তা মেরামত শুরু হবে।” |