দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা
পরিষেবা অমিল
সংযোগের ব্যথা
ঞ্চায়েত থেকে পুরসভা এলাকার মর্যাদা মিলেছে প্রায় এক বছর আগে। কিন্তু মেটেনি পরিস্রুত পানীয় জলের সমস্যা। কথা ছিল দিনে তিন বার এক ঘণ্টা করে পরিস্রুত পানীয় জল সববরাহ করা হবে এলাকায়। কিন্তু জল পৌঁছয় কখনও এক বার কখনও দু’বার। প্রতি বারই জল চলে যায় আধ ঘণ্টার মধ্যে। কলকাতা পুর এলাকার ১৪২, ১৪৩ এবং ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আবেদন জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি।
জোকার এক ও দু’নম্বর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা বছরখানেক আগেও পঞ্চায়েতের অধীনে ছিল। সম্প্রতি এই সব এলাকা কলকাতা পুরসভার আওতায় এসেছে। এই এলাকাগুলি নিয়েই কলকাতা পুরসভার তিনটি নতুন ওয়ার্ড ১৪২, ১৪৩ এবং ১৪৪ তৈরি হয়।
কল্যাণনগর, মণ্ডলপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, বারুইপাড়া, পাত্রপাড়া, মালিপাড়া, অধিকারীপাড়া, মজুমদারপাড়া, কয়ালপাড়া, প্রামাণিকপাড়া, নস্করপাড়া, বৈদিকপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ, এখানে সারা বছরই পরিস্রুত পানীয় জলের সমস্যা থাকে। ফলে জলবাহিত রোগও লেগেই থাকে এলাকায়। গরমে আর বর্ষায় সমস্যা আরও বেড়ে যায়। পরিস্থিতি এমন হয় যে অনেক সময়ে জল কিনে খেতে হয়। পুরসভার কলে যেটুকু জল আসে তাও অনেক সময়ে ঘোলাটে হয়। জলে আয়রনের পরিমাণও খুব বেশি।
স্থানীয় বাসিন্দা সমীরণ মণ্ডলের কথায়: ‘‘পঞ্চায়েত থেকে কলকাতা পুরসভার আওতায় আসার পরে ভেবেছিলাম দুর্ভোগের অবসান হবে। কিছুই হয়নি। শুধু পরিস্রুত পানীয় জল নয়, আলো, রাস্তা, জল-সহ বিভিন্ন নাগরিক পরিষেবা এই এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে অবহেলিত।” কেন এই হাল?
এলাকায় ঘুরে জানা গেল, এই সমস্ত এলাকা দীর্ঘ দিন পঞ্চায়েতের আওতায় থাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা ছিল হ্যান্ড টিউবওয়েলের উপরে নির্ভরশীল।
কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, টিউবওয়েল বসানোর কয়েক মাস পর থেকেই লালচে জল উঠতে শুরু করে। কলকাতা পুরসভার জল সরবারহ বিভাগের ডিজি বিভাস মাইতি বলেন, “সবে কয়েক মাস হল ওই সব এলাকা আমাদের আওতায় এসেছে। এখন জায়গা খোঁজা হচ্ছে। জায়গা পেলেই পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। আপাতত আরও হ্যান্ড টিউবওয়েল বসিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে।”
জোকার ওই তিনটি ওয়ার্ডে এখনও নির্বাচন না হওয়ায় কোনও কাউন্সিলর নেই। পুরসভা-নিযুক্ত একজন ইঞ্জিনিয়ার নাগরিক পরিষেবার বিষয়গুলির দায়িত্বে রয়েছেন। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কয়েক মাস হল ওই সব এলাকা পুরসভার আওতায় এসেছে। ওই এলাকার পরিস্রুত পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে আমরা কয়েক বার আলোচনাও করেছি। আশা করছি দ্রুত একটা সুরাহা হবে।”

ছবি: অরুণ লোধ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.