পূর্ব কলকাতা: লেকটাউন, বারাসত
মিটল দাবি
খুশির বাগান
ত্তর দমদম পুরসভার রবীন্দ্রনগর এলাকায় এখন খুশির আমেজ। কারণ পুর উদ্যোগে এলাকায় তৈরি হয়েছে উদ্যান ও মুক্তমঞ্চ।
এলাকাবাসী জানালেন, কিছুদিন আগেও রবীন্দ্রনগর, মাঠকল এবং আলিপুর এলাকায় কোনও উদ্যান ছিল না। ফলে ছোট ছেলেমেয়েদের খেলাধুলো বা প্রবীণদের হাঁটতে বেরনোর উপায় কার্যত ছিল না বললেই চলে।
রবীন্দ্রনগরে ১১ কাঠা জমিতে ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একত্রে উদ্যান এবং মুক্তমঞ্চ তৈরি করেছে উত্তর দমদম পুরসভা। পার্কের ভিতরে ঢুকেই দু’দিকে পাথর দিয়ে বাঁধানো বসার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। পার্কের বাঁদিকে শিশুদের জন্য তৈরি হয়েছে অ্যাকোয়ারিয়াম এবং ডান দিকে রাখা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আর রাজহাঁস। এ ছাড়াও দোলনা, স্লিপ তৈরি করা হয়েছে। পার্কের মাঝখানে তৈরি করা হয়েছে পাথর দিয়ে বাঁধানো মুক্তমঞ্চ। রাস্তার মোড়ে বা পরিত্যক্ত জমির বদলে এলাকার বাসিন্দারা যাতে এখানেই নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে পারেন সেই উদ্দেশ্য এই মুক্তমঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মুক্তমঞ্চের ডান পাশে বসানো হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি। পার্কের পাঁচিলে নানা ছড়া লেখা হয়েছে। আঁকা হয়েছে ছবিও।
পার্কের মাঝে বোনা হয়েছে সবুজ চাইনিজ ঘাস। আর চার দিকে লাগানো হয়েছে মরসুমি ফুলের গাছ। বাসিন্দাদের সকালে বিকালে হাঁটার জন্য পৃথক জায়গা রাখা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জুহি সরকার বলেন, “উদ্যান তৈরি হওয়ায় প্রতিদিন বিকেলে ছোট ছেলেমেয়েরা খেলাধুলো করতে পারছে।” এলাকার বাসিন্দা মলয় দাস বলেন, “আমার মতো প্রবীণ মানুষেরা এখন উদ্যানে সকালেবিকালে হাঁটতে পারছি। আগে রাস্তায় হাঁটতে হত। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কোনও বসার জায়গা ছিল না। উদ্যান তৈরি হওয়ায় আর সেই সমস্যা নেই।”
উত্তর দমদম পুরসভার পুরপ্রধান সিপিএমের সুনীল চক্রবর্তী বলেন, “এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে উদ্যান ও মুক্তমঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।”




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.