রাজ্যের গর্ব তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুক। প্রশাসনের দাবি, এখানে রয়েছে বিশ্বমানের পরিকাঠামো। অথচ, এই শিল্পতালুকের রাস্তার হাল উল্টো ছবিটাই তুলে ধরছে। রাস্তা ছোট-বড় গর্তে ভরা। কোথাও পিচ উঠে ইট বেরিয়ে পড়েছে। জল জমে আছে। প্রশাসনের আশ্বাস, বর্ষার পরে পুরোদমে মেরামতি শুরু হবে। যদিও নিত্যযাত্রী ও চালকদের অভিযোগ, প্রতি বার শুধু প্রলেপ দিয়েই কাজ সারা হয়। |
শিল্পতালুকের মূল রাস্তা রাজারহাট এক্সপ্রেসওয়ে-র নানা জায়গার হাল খারাপ। এ ছাড়া উইপ্রো মোড় থেকে কলেজ মোড়, ওয়েবেল টেকনোপলিস থেকে কলেজ মোড়, কলেজ মোড় থেকে এসডিএফ বিল্ডিংমুখী রাস্তাও বেশ কয়েকটি জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিল্পতালুকের ব্লকগুলির ভিতরের রাস্তার হাল আরও খারাপ। কয়েকটি জায়গায় ধসও নেমেছে।
তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী সায়ন্তন মজুমদারের অভিযোগ, “এখানে প্রচুর গাড়ি আসে। রাজারহাট এক্সপ্রেসওয়ে সেই চাপ বহন করতে পারলেও ভিতরের রাস্তা পারছে না।
রাস্তা সারাইয়ের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারদের একটি অংশের অভিযোগ, ইমারতি দ্রব্যের খরচ বেড়েছে। কিন্তু প্রশাসন সে তুলনায় অর্থ বরাদ্দ বাড়ায়নি। |
ফলে সারাইয়ের মানে খামতি থাকছে। কিন্তু ঠিকাদারদের এ যুক্তি মানতে নারাজ নবদিগন্ত। বদ্রিনারায়ণবাবুর দাবি, “নবদিগন্তের নিজস্ব তহবিল থেকেই রাস্তা মেরামত করা হয়। সাধারণ রাস্তার ক্ষেত্রে এক বছর ও ম্যাস্টিক অ্যাসফল্টের রাস্তা হলে তিন বছরের চুক্তি থাকে। আর্থিক সমস্যা নেই।” পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের যুক্তি, ‘‘সব রকম শর্ত মেনেই ঠিকাদারেরা কাজ করেন। তার পরেও ওই যুক্তি মানা যায় না। চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাস্তা খারাপ হলে ঠিকাদারদেরই মেরামত করতে হবে। আরও ভাল মানের রাস্তা তৈরির চিন্তা আছে।’’
|