তাঁর বিশ্বাস, অতীত কৃতিত্বের জোরে কেউ টিমে জায়গা করে নিতে পারে না। তবু যুবরাজ সিংহ ভারতীয় ক্রিকেটমহলকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, দলে সিনিয়রদের অবদান সহজে ভুলে যাওয়া যায় না। “আমি টিমে থাকি বা না থাকি, জাতীয় দলে যেন সেরা এগারো জন প্লেয়ারই থাকে। বলছি না যে, টিম বাছার সময় অতীত কৃতিত্ব মনে রাখতে হবে। কিন্তু আমরা দেশের জন্য যা করেছি, সেটা যেন কেউ ভুলে না যায়,” এ দিন একটি অনুষ্ঠানে যুবরাজোচিত মন্তব্য। অন্য প্রসঙ্গে যুবরাজ বলেন যে অর্জুন তেন্ডুলকরের মধ্যে তিনি সচিনের প্যাশন দেখতে পান। “অর্জুনকে নেটে দেখলাম। ওর টেকনিক আর প্যাশন নিশ্চয়ই ওর বাবার কাছ থেকে পাওয়া।”
তরুণ টিম ইন্ডিয়া-র প্রশংসা করে যুবরাজ বলেছেন, “যে তরুণরা ভাল খেলছে, তাদের জন্য আমি খুব খুশি। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য ভাল লক্ষণ,” বলে পরক্ষণেই যোগ করেছেন, “আমাকে জিজ্ঞেস করলে বলব, জাতীয় দলে ফিরতে আমি সব কিছু করতে তৈরি!”
তিনি নিজে তৈরি হলেও ২০১৫ বিশ্বকাপের ভারতীয় টিমে যুবরাজের থাকার সম্ভাবনা কতটা বাস্তবসম্মত? যুবরাজের সতর্ক জবাব, “কাল কী হবে সেটাই জানি না। বিশ্বকাপ তো এখনও দেড় বছর দূরে।” জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের কোনও সময়সীমা না রাখলেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নীল জার্সি গায়ে মাঠে নামতে চান যুবরাজ। তা হলে বুচিবাবু বা মইন-উদ-দৌল্লার মতো প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট খেলছেন না কেন? যুবরাজ বলছেন, “আমার রাজ্য সংস্থা যে টুর্নামেন্ট খেলছে, সেগুলোই আমি খেলতে পারি।”
প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট না খেললেও জাহির খানের সঙ্গে ফ্রান্সে তাঁর প্রাক মরসুম হাই-অল্টিটিউড ট্রেনিং নিয়ে খুশি যুবরাজ। “একটা নির্দিষ্ট ফিটনেস রুটিন, নির্দিষ্ট ডায়েট, নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছি,” বলছেন যুবরাজ। তাঁকে এবং জাহিরকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল এনসিএ-কে নিজেদের গেস্টহাউস বানিয়ে ফেলার, সে প্রসঙ্গে প্রত্যাশিত ভাবেই কিছু বলতে চাননি যুবরাজ। বলেছেন, “আমি তখন ফ্রান্সে ছিলাম। এখানে কী হয়েছে কিছু জানি না।” |