|
|
|
|
ত্রিপুরা ভেঙে পৃথক ত্রুইপাল্যান্ডের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
পৃথক ত্রুইপা রাজ্যের দাবিতে সরব হয়ে উঠল আইপিএফটি’র (ইনডিজেনাস পিপল্স ফ্রন্ট অফ ত্রুইপ্রা) আজকের রাজনৈতিক জনসভা। জনসভার শুরুতে ত্রিপুরা উপজাতি অঞ্চল স্বশাসিত জেলা পরিষদের (টিটিএএডিসি) এলাকা নিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবিকে সামনে রেখে আইপিএফটি আজ রাজভবন অভিযানও করে। রাজ্যপালের কাছে ‘ত্রুইপাল্যান্ড’ ঘোষণার দাবিতে একটি স্মারকলিপিও জমা দেয় আইপিএফটি’র প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন বড়ো স্টুডেন্টস ইউনিয়নের নেতা কিরণ বসুমাতারি, গোর্খাল্যান্ড রাজ্য নির্মাণ মোর্চার নেতা দাওয়া পাখরিন, বড়োল্যান্ড আন্দোলনের নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ ইউ জি ব্রহ্ম, ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ নিউ স্টেটস-এর কেন্দ্রীয় নেতা (এনএফএনএস) আর কে বাবাদেভ তোমার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, তেলেঙ্গানা গঠনে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সম্মতি মিলতেই ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। মাথাচাড়া দিচ্ছে রাজ্যের উপজাতি অধ্যুষিত স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকা নিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি। আইপিএফটি-র সভাপতি নরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মা বলেন, ‘‘পৃথক রাজ্যের দাবিতে ত্রিপুরার উপজাতি সমাজ আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’’
আইপিএফটি’র নেতা অঘোর দেববর্মা আজকে তাঁর ভাষণে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের কিছু তথ্য তুলে ধরেন। ১৯৪৬ সালে নোয়াখালি দাঙ্গার কারণে হিন্দু বাঙালিরা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (অধুনা বাংলাদেশ) থেকে চলে এসেছিলেন ত্রিপুরায়, এ কথা উল্লেখ করে অঘোর দেববর্মা বলেন, ‘‘ত্রিপুরার রাজ পরিবার সে সময়ে মানবিক কারণে বাঙালিদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।’’ উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ বাঙালি-বিরোধী নন, এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আজ ত্রিপুরার শাসক দল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনৈতিক বঞ্চনার কারণে রাজ্যের উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন।” তাই ত্রিপুরার বাঙালিদের ‘সমর্থন’ চায় এখানকার উপজাতি সম্প্রাদায়ের মানুষ। রাজ্যের উপজাতিদের জন্য পৃথক ‘ত্রুইপাল্যান্ড’ গঠনের মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে তাঁদের দাবি। আইপিএফটি সভাপতির আভিযোগ, গত শতকে, আশির দশকের গোড়ায় উপজাতি এলাকা স্বশাসিত পরিষদ গঠিত হলেও রাজ্যের সমতল এলাকা এবং টিটিএএডিসি অঞ্চলে অ-সম ‘উন্নয়ন’ হয়েছে। |
|
|
|
|
|