|
|
|
|
জন্ম-শংসাপত্র বিলির নতুন ছক ঝাড়খণ্ডে |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
নবজাতকের পরিজনদের কাছে জন্ম-শংসাপত্র পৌঁছতে ‘হোম ডেলিভারি’ ব্যবস্থা চালু করছে ঝাড়খণ্ড। আন্তর্জাতিক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ওই পরিকল্পনা করছে রাজ্য প্রশাসন।
প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে, শিশুর জন্মের তারিখ, সময়-সহ অন্য তথ্য স্থানীয় পুরসভা, পঞ্চায়েতে নথিভুক্ত করতে হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ দিয়েছে। জন্মের সরকারি শংসাপত্র দিতে হবে শিশুর পরিবারকেও।
কিন্তু রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার পাশাপাশি বড় শহরের কয়েকটি এলাকায় নবজাতকের জন্মের তথ্য প্রশাসনের কাছে পৌঁছচ্ছে না। তার জেরে শংসাপত্র পাচ্ছেন শিশুর পরিজনরাও।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তা জোব জাকারিয়া জানান, অনেক ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক-কর্মীদের গাফিলতিতে শিশুর জন্ম-বৃত্তান্ত সরকারি দস্তাবেজে নথিভুক্ত হচ্ছে না। সদ্যোজাতের অভিভাবকদের অজ্ঞতাও সমানভাবে দায়ী। সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গ্রামীণ এলাকায় অনেক সময় বাড়িতে সন্তানের প্রসব হয়। ওই শিশুর জন্মের সময়-তারিখ পঞ্চায়েতে জানানো হয় না। সরকারি হিসেবের বাইরেই থেকে যায়। সে জন্য মেলে না জন্মের শংসাপত্রও।
সে দিকে তাকিয়েই এ বার প্রত্যন্ত এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মাধ্যমে জন্মের শংসাপত্র ‘হোম ডেলিভারি’র ব্যবস্থা করছে সরকার। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামগুলিতে প্রতি মাসে পঞ্চায়েতের গ্রামসভা বসে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ওই সভায় নবজাতকদের জন্মের খবরাখবর জানাবেন। তাঁরাই পরে পঞ্চায়েত অফিস থেকে শংসাপত্র সংগ্রহ করে শিশুর পরিবারের হাতে পৌঁছে দেবেন।
জোবের কথায়, “জন্মের শংসাপত্র না-থাকায় বয়স নিয়ে কারচুপিও হচ্ছে। যৌন নিগ্রহের মতো ঘটনায় অভিযুক্তের দাবি মেনে অনেক সময় তাকে নাবালক বলে দেখাতে বাধ্য হচ্ছে পুলিশ।”
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ এলাকায় মাত্র ৩৮ শতাংশ নবজাতকের জন্ম-বৃত্তান্ত সরকারি খাতায় নথিভুক্ত হয়। ওই সব এলাকায় শিশুর জন্ম শংসাপত্র হাতে পান ১৭ শতাংশ পরিবার। শহরাঞ্চলের পরিস্থিতিও সন্তোষজনক নয়।
সমীক্ষা রিপোর্ট দেখার পর নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার। পরিকল্পনা দফতরের সচিব অবিনাশ কুমার জানান, এখনও রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় শিশুর জন্মের শংসাপত্রের গুরুত্ব অনেকেই বুঝতে পারেন না। তিনি বলেন, “সমস্যা মেটাতে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে এ নিয়ে প্রচার করা হবে।” |
|
|
|
|
|