টুকরো খবর |
ফোন বিকল, শিকেয় কাজ
নিজস্ব সংবাদদাতা |
বেশির ভাগ টেলিফোনই অচল বিধাননগরের বিদ্যুৎ ভবনে। রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের অভিযোগ, বারবার জানালেও বিষয়টি তেমন ভাবে দেখছে না বিএসএনএল। নিগম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, টেলিফোন খারাপ থাকায় চলছে না ফ্যাক্স। ডকে উঠেছে কাজ। বিএসএনএলের চিফ জেনারেল ম্যানেজার শ্রীহরি রায় বলেন, “মেট্রোর কাজের জন্য মাঝে কেব্ল কেটে গিয়ে বিদ্যুৎ ভবনের টেলিফোন খারাপ হয়। এই চার দিনের বৃষ্টিতে আবার সেগুলি খারাপ হয়েছে। তবে সারানোর কাজ শুরু হয়েছে। শীঘ্রই মেরামত হবে।” এমনিতেই বিএসএনএল-এর গ্রাহক পরিষেবা তলানিতে। ল্যান্ড লাইন ও মোবাইল দু’টিরই অবস্থা তথৈবচ। তার উপর একটু বৃষ্টি হলেই সব ফোন অচল। গত চার-পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে কলকাতা-সহ শহরতলির সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলিতে অচল হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার টেলিফোন। অভিযোগ, বারবার জানানো সত্ত্বেও তা সারানো হচ্ছে না। শুধু ফোন কেন, শিকেয় উঠেছে ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ডের পরিষেবাও। ফলে ঠিক মতো ইন্টারনেট দেখতে পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। তাঁদের অভিযোগ, খুঁড়িয়ে চলছে বিএসএনএল।
|
বিআইটিএম-এ স্যাম পিত্রোদা |
|
বিআইটিএম-এ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আড্ডায় পিত্রোদা। |
নানা ব্যস্ততায় ভুলে গিয়েছিলেন রাতে এক বন্ধুকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেছেন। যদিও নিজের হাতে ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলেন সে কথা। কিন্তু পরে আর সে লেখা পড়ে দেখেননি। ফলে হঠাৎ বন্ধুর আগমন তাঁকে বেশ বিব্রত করেছিল। সেই মুহূর্তেই ঠিক করেছিলেন, এমন ডায়েরি আবিষ্কার করবেন যা খুলে দেখার প্রয়োজন হবে না। তারই ফলশ্রুতি ‘ইলেকট্রনিক ডায়েরি’। শুক্রবার বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়াম-এর এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানালেন ‘ন্যাশনাল ইনোভেশন কাউন্সিল’-এর চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা। নিজের জীবনের গল্পের মাধ্যমে তিনি উপস্থিত পড়ুয়াদের নতুন কিছু করে দেখানোর কথা বললেন। এ দিন বিআইটিএম-এ একটি সায়েন্স ল্যাবরেটরি ‘ইনোভেশন হাব’-এর উদ্বোধন করেন তিনি। পড়ুয়ারা হাতেনাতে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি যাচাই করতে পারবে সেখানে।
|
পিএইচডি স্তরে বঞ্চনার নালিশ যাচাইয়ে কমিটি |
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে পিএইচডি স্তরে ছাত্র ভর্তিতে বঞ্চনা ও অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গড়া হয়েছে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০০৯-’১০ সালে ওই বিভাগে পিএইচডি-তে ছাত্র ভর্তিকে কেন্দ্র করে বঞ্চনা ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বঞ্চিত করে অন্যদের পিএইচডি-তে ভর্তি করা হয়েছে বলে রাজ্য উচ্চশিক্ষা সংসদে অভিযোগ জানান অনেক আবেদনকারী। শারীরিক প্রতিবন্ধী, তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসনে ছাত্র ভর্তিতেও অসঙ্গতির অভিযোগ জানান অনেকে। সংসদ তদন্ত করে জানায়, ভর্তি প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সংসদের তদন্ত রিপোর্ট এবং এই পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান তপতী বসুর ব্যাখ্যা রাজ্যের শিক্ষা অধিকর্তার কাছে পাঠানো হয়। এই বিষয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেলের পরামর্শও নেন বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এ দিন বলেন, “অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায় জানান, যাঁরা ইতিমধ্যেই ভর্তি হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে। কিন্তু যাঁরা অনিয়মের জেরে ভর্তি হতে পারেননি বলে জানিয়েছেন, তাঁদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে সুবিচার দিতে হবে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন জন ডিনকে নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়া হয়েছে।”
|
প্রেসিডেন্সির বিধি ডিসেম্বরে |
২০১১ সালে ছাত্র ভর্তি শুরু হলেও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও ‘স্ট্যাটিউট’ বা বিধি তৈরি হয়নি। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই বিধি তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে বলে প্রেসিডেন্সির মেন্টর গ্রুপের চেয়ারম্যান সুগত বসু শুক্রবার জানান। বিধি তৈরি হয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা গভর্নিং বোর্ড তৈরি করা যাবে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছিল বলেই এত দিন বিধি তৈরির কাজ শুরু করা যায়নি। নতুন আইন অনুযায়ী বিধি তৈরির দায়িত্ব উপাচার্যের। তবে তাতে মেন্টর গ্রুপেরও ভূমিকা থাকবে বলে জানান সুগতবাবু। উপাচার্য মালবিকা সরকার জানান, বিধি তৈরির জন্য একটি কমিটি গড়া হবে। নতুন আইন অনুযায়ী মেন্টর গ্রুপের রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলে পাশ করাতে হবে। তা মেনে এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলের বৈঠকে মেন্টর গ্রুপের সাম্প্রতিক রিপোর্টটি পেশ করা হয়। কাউন্সিল তা পাশ করেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানান। মেন্টর গ্রুপ ওই রিপোর্টে মালবিকাদেবীর কার্যকাল আরও দু’বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। রিপোর্টটি কাউন্সিলে পাশ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সেই সুপারিশও মেনে নেওয়া হয়েছে। যদিও সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মালবিকাদেবীর কার্যকাল আপাতত আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
|
মণীন্দ্র কলেজে তদন্তের আর্জি |
কলেজে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্যের শিক্ষা অধিকর্তাকে অনুরোধ করল মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের পরিচালন সমিতি। তদন্তের রিপোর্ট জমা পড়া পর্যন্ত অধ্যক্ষ মন্টুরাম সামন্তকে স্থায়ী করার প্রক্রিয়াও আটকে রাখা হল। শুক্রবার পরিচালন সমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের নিয়মে এক বছর পূর্ণ হলে অধ্যক্ষকে স্থায়ী করা হয়। এ দিনই ওই পদে মন্টুরামবাবুর এক বছর পূর্ণ হয়েছে বলে কলেজ সূত্রের খবর। পরিচালন সমিতির খবর, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাই তা খতিয়ে দেখা হবে। কলেজে পঠনপাঠন, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন দেওয়া ইত্যাদি নিয়ম মেনে হচ্ছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করে পরিচালন সমিতি। কলেজ সূত্রের খবর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে এ বিষয়ে তদন্ত করতে অনুরোধ করা হবে। মন্টুরামবাবু অবশ্য কোনও বিষয়েই মুখ খুলতে চাননি।
তিনি বলেন, “আমি কারও সঙ্গে কথা বলব না।”
পুরনো খবর: অধ্যক্ষের ইস্তফা দাবি জয়পুরিয়ায়
|
উচ্ছেদের জেরে ভোগান্তি |
এক দিকে দু’টি রুটে বাস বন্ধ। অন্য দিকে উচ্ছেদ হওয়া হকারদের বিক্ষোভ ও পথ-অবরোধ। এই দুইয়ের জেরে শুক্রবার সকালে গল্ফ গ্রিন এলাকায় দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে গল্ফ গ্রিনে উদয়শঙ্কর সরণির একটি ধার আটকে ছিলেন দখলদারেরা। বুধ ও বৃহস্পতিবার রাতে পুরসভা ওই রাস্তায় হকার উচ্ছেদ অভিযান চালায়। ভেঙে দেওয়া হয় ২৩৪ এবং গল্ফ গ্রিন-হাওড়া রুটের বাসগুমটি। প্রতিবাদে ওই দুই রুটের কর্মীরা এ দিন বাস বন্ধ রাখেন। সকাল ৯টা থেকে দেড় ঘণ্টা পথ-অবরোধ চলায় দুর্ভোগ বাড়ে। তৃণমূলের কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত ঘটনাস্থলে গেলে হকারেরা তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান। তপনবাবু বলেন, “পুরসভা আদালতের নির্দেশ, পালন করেছে।”
|
জাল নোট-সহ ধৃত |
জাল নোট-সহ গ্রেফতার হল দুই যুবক। বৃহস্পতিবার রাতে মানিকতলার বাগমারি রোড থেকে তাদের ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃত বিকাশ সাউ ও রাহুল সাউ হাওড়ার বাসিন্দা। শুক্রবার তাদের আদালতে তোলা হলে ১সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাদের কাছ থেকে ১০০ টাকার ৪০টি জাল নোট মিলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার জাল নোট নিয়ে তারা ওই এলাকার একটি দোকানে গিয়ে কেনাকাটা করে। তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পরে সন্দেহ হয় দোকানদারের। নোটগুলি জাল কি না জানতে চাইলে ওই যুবকেরা পালাতে চেষ্টা করে। ওই সময়েই স্থানীয়েরা তাদেরকে ধরে পুলিশে দেন।
|
মেলেনি বৃত্তির টাকা, বিজ্ঞান-সচিব ঘেরাও |
বৃত্তির টাকা না-পাওয়ায় শুক্রবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান-সচিবকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের এমটেক পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, গেট উত্তীর্ণ হয়ে ১৭১ জন ছাত্রছাত্রীর ‘অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’ (এআইসিটিই)-এর কাছ থেকে বৃত্তি পাওয়ার কথা। সেই টাকা তাঁরা এখনও পাননি বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে এ দিন সকাল থেকে কলেজের বিজ্ঞান শাখার সচিব অমিত রায়কে ঘেরাও করে রাখা হয়। অমিতবাবু জানান, এআইসিটিই জানিয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তির টাকা এখন থেকে অনলাইনে পাঠানো হবে। সেই প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি বলেই টাকা পেতে দেরি হচ্ছে।
|
শিক্ষক-অভিভাবক-ছাত্রদের নয়া মঞ্চ |
স্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার দাবিতে এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের শিক্ষায় বেসরকারিকরণের চেষ্টার প্রতিবাদে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে নাগরিক মঞ্চ গড়ছে আরএসপি-র ছাত্র সংগঠন পিএসইউ। রামমোহন মঞ্চে শুক্রবার ছাত্র-শিক্ষক যৌথ কনভেনশন থেকে এমনই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। |
|