চালু হওয়ার প্রায় ৩০ বছর পরে ক্লোজ্ড সার্কিট ক্যামেরা বসছে মেট্রোর সুড়ঙ্গ এবং স্টেশনের বাইরে। প্রতিটি স্টেশনেই বসানো হচ্ছে এই ক্যামেরা। নিরাপত্তার স্বার্থেই এই ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মেট্রো সূত্রে খবর, আগে মেট্রো রেল চলত টালিগঞ্জ থেকে দমদমের মধ্যে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন টালিগঞ্জ থেকে মেট্রো পরিষেবা বাড়িয়ে দেওয়া হয় গড়িয়ার কবি সুভাষ পর্যন্ত। এর পরে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে আরও। বেড়েছে ট্রেনের সংখ্যাও। সম্প্রতি দমদমের পরে মেট্রো-পথ বেড়েছে নোয়াপাড়া পর্যন্ত। সব দিক বিবেচনা করে মেট্রোর নজরদারি শুধুমাত্র রেল পুলিশের উপর ছাড়তে রাজি নন কর্তৃপক্ষ। তাই প্রতিটি স্টেশনে ক্লোজ্ড সার্কিট ক্যামেরার বসানোর পাশাপাশি শুরু হয়েছে স্টেশনের বাইরে মেট্রো রেলের প্রবেশ মুখে এবং প্রতিটি স্টেশনে সুড়ঙ্গের দিকে মুখ করে ক্যামেরা বসানোর কাজও। যা দিয়ে দেখা যাবে ৪০-৫০ ফুট সুড়ঙ্গের ভিতরের অংশ।
মেট্রো রেলের এক কর্তা বলেন, দমদমের নোয়াপাড়া থেকে গড়িয়ার কবি সুভাষ পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার পথে চলাচল করে মেট্রো। গোটা পথে রয়েছে ২৪টি স্টেশন। প্রতিটি স্টেশনেই দু’টি অথবা তিনটি করে ঢোকা এবং বেরনোর গেট রয়েছে। প্রতিটি গেটের বাইরেই বসানো হচ্ছে অত্যাধুনিক এই ক্যামেরা। এ ছাড়াও সুড়ঙ্গ দেখার জন্য প্রতিটি স্টেশনের আপ এবং ডাউন প্ল্যাটফর্মে বসছে চারটি করে কামেরা। কোনও যাত্রী যাতে ইচ্ছাকৃত ভাবে বা অন্য কোনও কারণে সুড়ঙ্গের মধ্যে নেমে যেতে না পারেন, তাই এই ব্যবস্থা।
এই নতুন ব্যবস্থায় স্টেশন ম্যানেজারেরা নিজের চেম্বারে বসেই সব দেখতে পাবেন। দেখা যাবে কন্ট্রোল রুম থেকেও।
মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “মেট্রো স্টেশনগুলিতে আগেও ক্লোজ্ড সার্কিট ক্যামেরা ছিল। কিন্তু এতদিন তা স্টেশনের বাইরে এবং সুড়ঙ্গের মধ্যে ছিল না। নিরাপত্তার স্বার্থেই এ বার ওই সব জায়গায় ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, “মেট্রো রেল ‘সফ্ট টার্গেট’। রেল বোর্ড থেকে সার্কুলার দিয়ে বলা হয়েছে, প্রতিটি রেল জোনেই ক্লোজ্ড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। কলকাতার মেট্রোয় রোজ সাড়ে ৬ থেকে ৭ লক্ষ যাত্রী চলাচাল করেন। তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা মেট্রো-কর্তৃপক্ষের প্রথম এবং প্রধান কাজ। তাই এই ব্যবস্থা।” মেট্রোর আর এক কর্তার কথায়, স্টেশনের বাইরে কারা ঘোরাঘুরি করছেন এই ক্যামেরায় তা যেমন দেখা যাচ্ছে, তেমনি কোনও সন্দেহভাজন ব্যক্তি মেট্রোয় ঢুকছেন কি না দেখা যাচ্ছে তা-ও। |