রাস্তা জুড়ে খানাখন্দ। বেশ কিছু জায়গার পিচও উঠে গিয়েছে। ফলে যানবাহন বিশেষ করে মোটরবাইক নিয়ে চলাচল বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। মানকর থেকে ভাতকুণ্ডা হয়ে মোরবাঁধ পর্যন্ত এই রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই পড়ে রয়েছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। তাঁরা জানান, মাঝেমধ্যে আংশিক সংস্কার করা হলেও তা টেকে না। অবিলম্বে রাস্তার পূর্ণ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
গলসি ১ ব্লক ও আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল। মানকর স্টেশন, কলেজ এমনকী বেশ কিছু সরকারি দফতরে যাতায়াত করতেও এই রাস্তাই নিত্য ভরসা। আবার কম সময়ে মানকর থেকে ভেদিয়া বা বোলপুর যেতেও অনেকে এই রাস্তা ব্যবহার করেন। কিন্তু জরুরি এই রাস্তা সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তাঁরা জানান, রাস্তা জুড়ে অসংখ্য ছোটবড় গর্ত তৈরি হয়েছে। পিচ উঠে পাথর বেরিয়ে যাওয়ায় যাতায়াত করা রীতিমতো সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর মোটরবাইক আরোহীরা তো প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করছেন। |
পিচ উঠে বেহাল মানকর থেকে মোড়গ্রাম যাওয়ার রাস্তা। বুদবুদের ভাতকুন্ডায় বিশ্বনাথ মশানের তোলা ছবি। |
স্থানীয় ভাতকুণ্ডা গ্রামের স্বরূপ মজুমদারের অভিযোগ, রাস্তা এতটাই বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে যে বাইক নিয়ে যাতায়াত করতে ভয় হয়। সবসময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। রাস্তাটি পূর্ণ সংস্কার করার বদলে মাঝেমধ্যে গর্ত ভরাট করা হয়। কিন্তু কিছুদিন চলার পরেই তা আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। স্বরূপবাবু বলেন, “রাস্তাটি আংশিক সংস্কার না করে পূর্ণ সংস্কার করলে তবেই এই সমস্যা মিটবে।” অন্যান্য বাসিন্দারা জানান, এমনিতেই এই রাস্তায় বাসের সংখ্যা কম। তার উপর রাস্তা খারাপ হয়ে যাওয়ায় যে কটি আছে সে কটিও চালাতে চান না মালিকরা। এই রুটে চলাচলকারী এক বাসের কর্মী বলেন, “রাস্তা এতটাই খারাপ যে মাঝে মাঝেই বাসের নানা যন্ত্রাংশ ভেঙে যাচ্ছে। ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। সেই কারণে বাধ্য হয়ে বাস চালানো বন্ধ করে দিতে হয়।”
এলাকায় গিয়েও দেখা গিয়েছে, রাস্তার খানাখন্দ ইট, পাথর দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। কিন্তু ক্রমাগত গাড়ি যাওয়া আসা করার ফলে সেগুলি উঠে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় না। তাঁরা জানান, এমনিতেই রাস্তাটি সংকীর্ণ। তার উপর গোটা রাস্তার যা দশা তাতে যাতায়াত করা কার্যত অসম্ভব। ফলে অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করা হলে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে আউশগ্রাম ২-এর বিডিও সনাতন সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে এ’বিষয়ে আলোচনা করা হবে। |