দেশের স্বার্থেই ডুয়ার্সে সেনাবাহিনীর বেস ক্যাম্প তৈরির পরিকল্পনা নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার তা নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে জে সিংহ-সহ অন্যানা সেনা প্রধানরা, রেলের একাধিক আধিকারিক, বনবিভাগের আধিকারিক, জলপাইগুড়ির জেলাশাসক পৃথা সরকার এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। বিন্নাগুড়িতে থাকা বায়ূসেনার বেস ক্যাম্পের মতো ডুয়ার্সের মালবাজারের কাছে ডামডিম এলাকায় এই সেনা ছাউনি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গৌতমবাবু বলেন, “জায়গাটি স্পর্শকাতর। সেখানে এ ধরনের ক্যাম্প তৈরি হলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও ভাল হবে। তবে সব কিছু আলোচনা করে তা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। তারপরেই কাজ শুরু হবে।” প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের চারিদিকেই রয়েছে আন্তজার্তিক সীমারেখা। নিরাপত্তার স্বার্থেই এই ক্যাম্প করার সিদ্ধাম্ত কেন্দ্রীয় সরকারের। এই প্রকল্পের জন্য মোট খরচ আনুমানিক ১০ হাজার কোটি টাকা। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী এক-দু’মাসের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানান গৌতমবাবু। তিনি বলেন, “এই প্রকল্পটি ৭৫০ একর জমিতে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তারমধ্যে ৫০০ একর জমি সেনাবাহিনীর রয়েছে। বাকি জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।” তবে এই সরকার জমি অধিগ্রহণের বিরোধী। সে বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “এখানে কোনও কৃষি জমি নেই। সে কারণে তা নিতে কোনও সমস্যা হবে না। জমির অবস্থা দেখেই তা নেওয়া হবে। তা নিয়েই এ দিন আলোচনা হয়।” ছাউনি তৈরি ব্যাপার নিয়ে এটাই প্রথম মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হল সেনাবাহিনীর। আরও কিছু বিষয় নিয়ে জেলাশাসক এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন গৌতমবাবু। এছাড়া ওই এলাকায় থাকা আলগাড়া থেকে নেওড়া ভ্যালিতে নতুন করে রাস্তা তৈরির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে উঠে আসে, ওই রাস্তায় কোন গাড়ি চলবে তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন। কোনও ভাবেই যেন জঙ্গলের পরিবেশ ব্যাহত না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। তাই গাড়ি চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। |