স্লুইস গেট নির্মাণের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়ে পড়ে রয়েছে। কিন্তু জমিজটের জেরে তা করা যায়নি। তার জেরে ভরাকোটালের সময়ে সারা বছর ধরে নদীর জলে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়ি, কৃষিজমি থেকে মাছের পুকুরের ক্ষতি হচ্ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও সুরাহা হয়নি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিবেকানন্দ পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামের পাশ দিয়ে কাকদ্বীপ-মুড়িগঙ্গার সংযোগকারী কালনাগিনী খাল বয়ে গিয়েছে। ওই খালের মুখে অজয়নগর গ্রামের কাছে স্লুইস গেট ও একটি সেতু ছিল। |
জলমগ্ন শিবপুর গ্রাম। ছবি: দিলীপ নস্কর। |
বছর চারেক আগে জোয়ারের জলের তোড়ে তা ভেঙে যায়। তার পর থেকেই ভরা কোটালের সময়ে মুড়িগঙ্গার জলে প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে স্লুইস গেটটি নির্মাণের জন্য লক্ষাধিক টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যে জায়গায় পুরনো ছোট স্লুইস গেটটি ছিল, সেখানে নতুন গেট করতে গিয়ে আরও জমির প্রয়োজন হয়। অভিযোগ, স্থানীয় কিছু বাসিন্দা জমি দিতে রাজি হননি। প্রয়োজনীয় জমি না মেলায় রীতিমতো সমস্যা তৈরি হয়েছে। তারই জেরে অজয়নগর পূর্ব ও পশ্চিম শিবপুর, বসন্তপুর, রিফিউজি কলোনি-সহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এলাকায় রয়েছে শিবপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র, অজয়নগর শিশুশিক্ষাকেন্দ্র ও বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার সকালেও রাস্তার কোথাও হাঁটু অবধি, কোথাও বা কোমর অবধি জল। জল ঢুকেছে বহু বাড়িতেই। জল ঢুকে বন্ধ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও শিশুশিক্ষাকেন্দ্রগুলির পরিষেবা। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, প্রতি বছর এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল দে, বিজয় দাস জানান, ছয় থেকে সাত হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। মাছের ভেড়ি, কৃষিজমি, সবজিখেতও ডুবে গিয়েছে। গেট তৈরি না হলে সমস্যা মিটবে না।
সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরার বক্তব্য, “জমি না পাওয়ায় গেট তৈরি করা যাচ্ছে না। টাকা এসে ফেরত চলে যাচ্ছে।” |