দুর্যোগ থেমেছে। নিম্নচাপ সরে গিয়েছে। কিন্তু বেহাল নিকাশির কারণে উলুবেড়িয়া পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জমা জল প্রায় সরছেই না।
তিন দিনের বৃষ্টিতে পুরসভার ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৪০টি বাড়ি জলবন্দি। একই অবস্থা বাউড়িয়ার পূর্ব বুড়িখালি এবং ফোর্ট গ্লস্টার ভাষাপাড়া এলাকাতেও। ২৬ নং ওয়ার্ডের জেলেপাড়ার বাসিন্দাদের ঠাঁই হয়েছে হাট বাউড়িয়া প্রাথমিক স্কুলে। ২১ নং ওয়ার্ডের সিপাইপাড়াতেও প্রায় সব বাড়িতেই ঢুকেছে জল। নলকূপগুলিও চলে গিয়েছে জলের তলায়। ফলে, গ্রামবাসীদের সমস্যা হচ্ছে পানীয় জল সংগ্রহে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পুরসভার নিকাশি ব্যবস্থার দিকে নজর না থাকায় তাঁদের ভুগতে হচ্ছে। কোনও রকম ত্রাণও মিলছে না। দীর্ঘদিন ধরে জল জমে থাকায় সমস্যা হচ্ছে তাঁদের জীবিকাতেও। |
জলবন্দি উলুবেড়িয়ার ২১ নম্বর ওয়ার্ড। ছবি: সুব্রত জানা। |
বেহাল নিকাশির জন্য সিপিএম তৃণমূল পরিচালিত উলুবেড়িয়া পুরসভার ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছে। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের তারক দাস বলেন, “বার বার পুরসভাকে বললেও ওরা কর্ণপাত করেনি। বিরোধী দল হওয়ার জন্যে আমরা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত।”
৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলার তথা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, “আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন চার কোটি টাকা এলাকায় খাল কাটার জন্যে বরাদ্দ করেছিলাম। তৃণমূলের বোর্ড এসে খাল কাটার নামে পুকুর চুরি করছে। পুরসভার ভৌগোলিক অবস্থান সম্বন্ধে যাদের ধারণা নেই, তাঁরা কী করে উন্নয়ন করবে?”
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আশা চৌধুরী বলেন, “এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হওয়ায় বেশ কিছু ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তবে জল বের করে দেওয়ার জন্য খালগুলি সংস্কারের ব্যাপারে আলোচনা চলছে।” পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান নাজিমা খান বলেন, “বিরোধীদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের বোর্ড জলমগ্ন পরিবারগুলির পাশে আছে। পুরসভা যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ পাঠাচ্ছে। আমরা সব রকম ভাবে জমা জল বের করার এবং দুর্গতদের সাহায্য করার চেষ্টা করছি।” |