সমস্যা চিহ্নিত করা সহজ। সমাধানসূত্র ভেবে পরিকল্পনা করাও সহজ। কিন্তু সেই পরিকল্পনা রূপায়ণের মধ্যেই আসল বাহাদুরি। দেশের সার্বিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বণিকসভা সিআইআই-এর মঞ্চ থেকে এ কথা জানালেন স্যাম পিত্রোদা।
পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে তাঁর মন্তব্যেও উঠে এল পরিকল্পনা ও তার রূপায়ণের প্রসঙ্গ। মঞ্চের বাইরে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় রাজ্যে উন্নয়নের পরবর্তী ধাপ কী? তিনি বলেন, “রাজ্যকে আমার পরিকল্পনা আগেই জানিয়েছি। এ বার তা কার্যকর সরকারকেই করতে হবে।” একই সঙ্গে তিনি জানান, ভবিষ্যতে রাজ্য ডাকলে অবশ্যই সাড়া দেবেন।
প্রসঙ্গত রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টামণ্ডলীর চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা। তাঁর সুপারিশ নিয়েই রাজ্য নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নীতি তৈরি করেছে। তবে নীতি তৈরির পরে উপদেষ্টামণ্ডলীর আর কোনও বৈঠক ডাকেনি রাজ্য।
এ ছাড়াও রাজ্যে উন্নয়নের নতুন মুখ তুলে ধরতে ২০১১-এ স্যাম পিত্রোদাকে পরামর্শদাতা নিয়োগ করে সরকার। ‘বাংলার পুনর্জাগরণে’ পিত্রোদাকে শরিক করে রাজ্য এগোতে চায় বলে তখন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেধা সম্পদ, শিল্প, শিক্ষা-সহ নানা বিষয় বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে পিত্রোদার ভাবনাচিন্তা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে আগ্রহী মুখ্যমন্ত্রী। অন্য দিকে পিত্রোদা জানান, রাজ্যের আর্থিক অবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাল খারাপ। পরিস্থিতির উন্নতি করতে সময় লাগবে। দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনাও জরুরি। এ দিন এ নিয়ে প্রশ্ন করলে পিত্রোদা বলেন, রাজ্যকে সুপারিশ জানিয়ে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত পিত্রোদা বলেন, উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নি দরকার নেই। তাঁর কথায়, “প্রতিবার কলকাতায় এসে দেখি চার পাশে আবর্জনা। এর প্রতিকারে কি বিদেশি লগ্নি প্রয়োজন?” উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন। তাঁর মতে, শুধু মোবাইল ফোন নয়। চাই ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। যাতে গ্রামের মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ গড়তে পারেন। তিনি জানান, এ রাজ্যকেও পঞ্চায়েত স্তরে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। |