নিজস্ব সংবাদদাতা • মাড়গ্রাম |
চুরি হওয়ার সাত দিনের ব্যবধানে ট্রাক, কিছু রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার-সহ ৫ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের বৃহস্পতিবার বীরভূমের রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বর্ধমানের কেতুগ্রাম এলাকা থেকে ধৃত হায়দার শেখ ও মুর্শিদাবাদ দৌলতাবাদ থেকে ধৃত নাজিমুদ্দিন শেখকে তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। বাকি তিন জন ট্রাক মালিক সাহিদুল ইসলাম, খালাসি সাহিদুল সরকার ও নুর আলম নামে আরও এক দুস্কৃতীর ১৪ দিন জেল হাজত হয়েছে। এই তিন জনকেও মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ এলাকা থেকে ধরা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার বসোয়া গ্রাম লাগোয়া এলাকার একটি গ্যাসের গুদামে ১৪ অগস্ট রাতে দশ-বারো জনের দুষ্কৃতীদের একটি দল হানা দিয়েছিল। তারা দুই নৈশ প্রহরীকে বেঁধে রেখে এবং অ্যাসবেস্টসের ছাউনি ভেঙে ভিতরে ঢুকে দরজা খোলে তারা। পরে ১২১টি গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার ও ১০৯টি খালি সিলিন্ডার দুস্কৃতীর দলটি ট্রাকে করে পালিয়ে যায়। পরের দিন দুর্গাপুর থেকে নিয়ে আসা ভর্তি গ্যাস সিলিন্ডার ওই গুদামে মজুত করতে গিয়ে গাড়ির চালক দেখেন, মূল গেটটি খোলা। তখন সন্দেহ হয় ওই চালকের। ভিতরে ঢুকে দেখেন দুই নৈশ্য প্রহরী বাঁধা অবস্থায় রয়েছেন। ওই গুদামের মালিক বিবেকানন্দ দাস বলেন, “দুর্গাপুরের ওই চালকের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পরে এলাকায় গিয়ে দেখি, গ্যাসের গুদামের মূল গেট খোলা এবং ২৩০টি সিলিন্ডার নৈশ প্রহরীদের বেঁধে রেখে পালিয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দিই।” পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, এই দুষ্কৃতী চক্রটি ৬ অগস্ট বর্ধমানের ভাতার, ১২ অগস্ট পূর্বস্থলিতে গুদাম থেকে গ্যাস সিলিন্ডার চুরি করে। এরা মূলত মুর্শিদাবাদ এলাকায় গ্যাসের দোকানে এই গ্যাসগুলি বিক্রি করে। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” |