দলের এক গোষ্ঠী আগের দিন শহরের দশ ওয়ার্ডে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার গুসকরায় তৃণমূলের আর এক গোষ্ঠী মনোনয়ন জমা দিল ১১টি ওয়ার্ডে। এ দিন শহরের সদ্য প্রাক্তন পুরপ্রধান চঞ্চল গড়াই ও তাঁর অনুগামীরা মনোনয়ন জমা দেন। শহরে দলের আর এক নেতা নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীদের মনোনয়ন পেশ করা প্রসঙ্গে চঞ্চলবাবু বলেন, “যে কেউ যে কোনও দলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। তবে দলের প্রতীক পেলে দলীয় প্রার্থী হিসেবে গণ্য হবেন। অন্যথায় তাঁকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়তে হবে।”
বর্ধমান ও গুসকরা পুরসভায় মনোনয়ন দেওয়ার শেষ দিন শুক্রবার। ইতিমধ্যে গুসকরার ১৬টি ওয়ার্ডে মোট ৫৬ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তার মধ্যে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা পড়েছে ২৬টি। বিজেপি ১০টি, সিপিএম ১৬টি, ফরওয়ার্ড ব্লক একটি, কংগ্রেস দু’টি প্রার্থী দিয়েছে। নির্দল প্রার্থী রয়েছেন এক জন। ১২ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের তিন জন করে এবং ১, ২, ৫, ৬, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জন করে প্রার্থী রয়েছেন। |
তাঁদের মধ্যে কারা দলের প্রতীক পাবেন, তা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। দলের বর্ধমানের অন্যতম পর্যবেক্ষক অলোক দাস বলেন, “এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।” চঞ্চলবাবু এ দিন মনোনয়ন জমা দিলেও সদ্য প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান মল্লিকা চোঙদার তা দিতে আসেননি। তিনি আজ, শুক্রবার মনোনয়ন জমা দেবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।
বর্ধমানের ৩৫টি ওয়ার্ডে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের ৫৩ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তবে দলের ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী ৩১ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে সমীর রায় ও রত্না রায় এ দিনও মনোনয়ন জমা দেননি। দলেরই একটি সূত্রের দাবি, সমীরবাবু ৩১ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়াও অন্তত চারটি ওয়ার্ডে নিজের অনুগামীদের প্রার্থী করতে চাইছেন। সে নিয়ে দলের অবস্থান অবশ্য জানা যায়নি। শহরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পু তৃণমূলের হয়ে বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেন। সেখানে মনোনয়ন জমা দিলেন ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের আর এক নেতা শেখ বাদশা। |
মনোনয়ন জমা চঞ্চল গড়াইয়ের। |
এ দিন তিনি শ’দুয়েক সমর্থককে নিয়ে মিছিল করে মনোনয়ন দিতে এলে পুলিশ রাস্তা আটকে জানায়, শুধু প্রার্থী ও তাঁর প্রস্তাবককে মহকুমাসাসকের দফতরে ঢুকতে দেওয়া হবে। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে মিছিলের লোকজনের বচসা বাধে। পরিস্থিতি সামলাতে নামে র্যাফ। র্যাফের তাড়ায় মিছিলকারীরা পিছু হঠেন।
এ দিন শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল হিসেবে মনোনয়নপত্র তুলেছেন বর্ধমানের অন্যতম তৃণমূল নেতা সুজিত ঘোষ। ওই ওয়ার্ডে দল প্রার্থী করেছে বর্ষীয়াণ নেতা পরেশ সরকারকে। সুজিতবাবুর দাবি, “এই ওয়ার্ডে আমিই জিতব। দলকে বারবার আমাকে টিকিট দিতে বলেছিলাম। দল শোনেনি। স্থানীয় মানুষের অনুরোধে সিপিএমকে হারাতেই আমি নির্দল হিসেবে দাঁড়াচ্ছি।” ওই ওয়ার্ডে এ বার সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন এক সময়ের সিপিআই নেতা, আইনজীবী রামেন্দ্রসুন্দর মণ্ডল।
|
বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |