মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বামেদের প্রতিবাদ সভা বাজারে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণের দাবিতে প্রতিটি বাজারের সামনে প্রতিবাদ সভা করবে বামেরা। সব শরিক দলকেই এই বিষয়ে নিজেদের মতো করে পথে নামার ডাক দিয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি বুধবার বলেছেন, “আনাজপাতি, খাদ্য সামগ্রী-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। পুজোর মুখে এই দাম আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে। অবিলম্বে দাম নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আমরা পথে নামব।” ক্ষমতায় আসার পরে মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাজার পরিদর্শনে নেমেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি মুরগির মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারেও মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হয়েছেন। কিন্তু সব্জি, মাছ ও আনাজের দাম যে ভাবে বাড়ছে, তা নিয়ে এখনও রাজ্য সরকারের তেমন কোনও উদ্যোগ মানুষের চোখে পড়েনি। সেই সুযোগ নিতেই বামেরা পথে নামছে। দুই শরিক সিপিআই ও ফরওয়ার্ড ব্লক ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছে। ৩০ অগস্ট খাদ্য ভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচিও নিয়েছে ফ ব। কেবল মূল্যবৃদ্ধিই নয়, বামেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে তৃণমূল গায়ের জোরে বোর্ড গঠন করছে, এই অভিযোগও প্রতিবাদ সভায় তুলে ধরা হবে বলে বিমানবাবু জানান। কলকাতায় ১ সেপ্টেম্বর সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী মিছিলেরও ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট। কিন্তু চেষ্টা করেও এসইউসি এবং সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনকে ওই মিছিলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে রাজি করাতে পারেনি আলিমুদ্দিন। বিমানবাবু বলেন, “ওঁরা জানিয়েছেন, কিছু বাস্তব অসুবিধা আছে।” তবে সন্তোষ রানার নেতৃত্বাধীন সিপিআই (এম-এল) এবং অসীম চট্টোপাধ্যায়ের সিআরএলআই মিছিলে যোগ দেবে। এই দু’দলের কর্মীর সংখ্যা খুবই কম। প্রশ্নের জবাবে বিমানবাবু বলেন, “ওঁরা কত জন লোক নিয়ে আসেন, দেখা যাক।”
|
বিশেষ রদবদল নেই বিধানসভার কমিটিতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিধানসভার কমিটিগুলির বিশেষ রদবদল হচ্ছে না এ বার। দু’বছর অন্তর বিধানসভার হাউস ও স্থায়ী কমিটিগুলিতে রদবদল হওয়াই রেওয়াজ। অগস্টে সবক’টি কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তা-ও মাত্র দু’তিনটি বিধানসভা কমিটির রদবদল হবে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “সামান্য কিছু কমিটির রদবদল হচ্ছে এ বার। বাকি কমিটিগুলি আগামী বছর পুনর্বিন্যাস করা হবে।” এ বার কমিটি পুনর্বিন্যাস বেশি না-হওয়ার প্রশ্নে স্পিকারের বক্তব্য, “কিছু সদস্য রদবদল চাইছেন। তাই মাত্র কয়েকটি কমিটির বদল হচ্ছে।” সরকারের মুখ্য সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, “কমিটি বদল দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। পঞ্চায়েত ভোট-প্রক্রিয়ায় মাসখানেক যুক্ত থাকায় কমিটি বদলের কাজ করা যায়নি।” ইতিমধ্যেই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদটি বামেদের কাছ থেকে নিয়ে কংগ্রেসের বিধায়ক জ্ঞানসিংহ সোহনপালকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার পরিবর্তে কংগ্রেসের মহম্মদ সোহরাবের জায়গায় এস্টিমেট কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন সিপিএমের আনিসুর রহমান। আর বিদ্যুৎ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদে আসছেন সোহরাব।
|