পুরুলিয়ায় ৭০, বান্দোয়ানে ১৩২ মিলিমিটার—কৃষি দফতর জানাচ্ছে মঙ্গলবার সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টায় এমনই বৃষ্টি হয়েছে জেলায়।
বুধবারও দিনভর বৃষ্টির জেরে অচল রইল পুরুলিয়া। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা জুড়ে গড়ে ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বাঘমুণ্ডি, বান্দোয়ান, পুঞ্চা, জয়পুর-সহ সংলগ্ন এলাকায় বেশ ভালো বৃষ্টি হয়। ভারী বর্ষণের জেরে জেলার বিভিন্ন জলাশয় ফুলে ফেঁপে উঠেছে। বরাবাজার থেকে মানবাজারগামী রাস্তায় নেংসাই নদীর উপরে বাল্লার ঘাট কজওয়ের কয়েক ফুট উপর দিয়ে জল বইছে। এর ফলে ওই রাস্তায় যানবাহনের চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। |
মানবাজারের এক পরিবহণ ব্যবসায়ী মনোজ মুখোপাধ্যায় বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই জলমগ্ন কজওয়ে দিয়ে কলকাতাগামী বাস ঝুঁকি নিয়ে পার হয়েছিল। কিন্তু বুধবার কলকাতা থেকে ফেরত গাড়ি আর বরাবাজার যেতে পারেনি।” পুলিশ জানিয়েছে, আগে এই ঘাটে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে যাওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এ বার যাতে কেউ ঝুঁকি নিয়ে পারাপারের চেষ্টা না করে, সে জন্য নজরদারি চালানো হচ্ছে।
মানবাজার-বান্দোয়ান রাস্তায় বোরো থানার বসন্তপুর গ্রামের কাছে একটি কালভার্ট মেরামতির কাজ চলছে। কালভার্টের দু’পাশে খালের জল রাস্তার উপর দিয়ে বইছে। বোরো থেকে বান্দোয়ানের কুইলাপালগামী রাস্তায় জয়পুর গ্রামের কাছে একটি কজওয়ে ছাপিয়ে জল বইতে থাকায় ওই রাস্তায় যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় দিঘি হাইস্কুল যাওয়ার রাস্তায় কজওয়ের অনেক উপরে জল বইতে থাকায় এ দিন অনেক পড়ুয়া স্কুলে যেতে পারেনি। মানবাজার ২ বিডিও পার্থ কর্মকার বলেন, “বসন্তপুর গ্রামের কাছে কালভার্টের কাজ দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে।” |
মানবাজার-বরাবাজার রাস্তায় কুমারী নদীর উপর দুয়ারশিনি ঘাটে জল বেশ ফুলে উঠেছে। বাঘমুণ্ডি-বলরামপুর সড়কে শোভা নদীর সেতুর উপর দিয়ে ও বাঘমুণ্ডি-ঝালদা সড়কে কুটিডি সেতুর উপর দিয়ে জল বইছে। সন্ধ্যা অবধি ওই দুই সেতু দিয়ে যান চলাচল করার খবর মিলেছে।
মঙ্গলবার রাত থেকে চলা প্রায় অবিরাম বৃষ্টির জেরে এ দিন জেলার বিভিন্ন রুটে অন্তত ৬০ শতাংশ বাস পথে নামতে পারেনি বলে জানিয়েছেন জেলা বাসমালিক সমিটির সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্ত। জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, “বিকেল অবধি জেলায় বৃষ্টির জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। সব বিডিওদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।” |