|
|
|
|
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব |
জয়ী নির্দল প্রার্থীদের মারধর চন্দ্রকোনায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম হলেন আট জন। মঙ্গলবার রাতে চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের জাড়া পঞ্চায়েতের হাটপুকুরে মারধরের পাশাপাশি চারটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। আহতদের প্রথমে ক্ষীরপাই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পাঁচ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তিন জনকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল এবং দু’জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার জেরে হাটপুকুর-সহ সংলগ্ন সীতাশোল, মদনচক, অর্জুনগেড়িয়া গ্রামে বুধবার উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রামগুলিতে বসেছে পুলিশ পিকেট।
শনিবার জাড়া পঞ্চায়েতে প্রধান-সহ নতুন বোর্ড গঠনের পরই রাত থেকে ছোটখাটো গণ্ডগোল চলছিল। ওই পঞ্চায়েতে এ বার দলের টিকিট না মেলায় পাঁচ তৃণমূল কর্মী এ বার নির্দল প্রার্থী হয়ে সরাসরি তৃণমূল প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু ভোটের ফল বের হলে দেখা যায় তাঁদের মধ্যে চার জন জয়ী হয়েছেন। তবে বাকি আসনগুলিতে জিতে ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলই বোর্ড গঠন করে। কিন্তু নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হওয়ায় দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় গণ্ডগোল। দলীয় সূত্রে খবর, প্রথমে স্থানীয় ব্লক স্তরের নেতারা বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও এলাকার দলীয় কর্মী এবং স্থানীয় নেতৃত্বরা তা মানতে পারেননি। সোমবার রাতেও হাটপুকুর-সহ সংলগ্ন গ্রামগুলিতে মারপিট হয়েছিল। তাতে তিন জন জখম হন। তাঁরা এখনও ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু ফের মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে হাটপুকুরে সংঘর্ষ শুরু হয়। গোটা চারেক বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগ তখন ধারালো অস্ত্র এবং বাঁশ দিয়ে জয়ী নির্দল প্রার্থী, কর্মীদের মারধর করে অন্য গোষ্ঠীর লোকেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতার অভিযোগ, নির্দল প্রর্থীরা যাতে পঞ্চায়েতে ঢুকতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে দলের অন্য গোষ্ঠী এলাকায় সন্ত্রাস শুরু করে। চন্দ্রকোনা ১ ব্লক সভাপতি চিত্ত পাল ওই গণ্ডগোলের কথা স্বীকার করেছেন। |
|
|
|
|
|