টুকরো খবর
কাজিরাঙায় চোরাশিকার
এ বার জাতীয় সড়কের কাছেই জঙ্গলে দুটি গন্ডার মারল চোরাশিকারিরা। গতকাল রাতে কাজিরাঙায় ঘটনাটি ঘটে। গুলির শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বনরক্ষীদের দিকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। বাধ্য হয়ে পিছনে হঠে নিরাপত্তাকর্মীরা। পুলিশ ও কাজিরাঙা সূত্রে খবর, রাত তিনটে নাগাদ ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বুড়াপাহাড় রেঞ্জের চিরাং বনশিবিরের কাছে দুটি গন্ডার শিকার করে হানাদারেরা। দু’টির বয়সই ৫-৬ বছর। ডিএফও এস কে শীলশর্মা জানান, একটি গন্ডারের খড়্গ কেটে নিয়েছে চোরাশিকারিরা। অন্যটির খড়্গ কাটার সময়ই বনরক্ষীরা পৌঁছে যায়। দুষ্কৃতীদের দিকে গুলি চালান তাঁরা। তখনই স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি চালাতে চালাতে পালায় শিকারিরা। কাজিরাঙায় চলতি বছরে ইতিমধ্যেই চোরাশিকারে ১৮টি গন্ডারের মৃত্যু হল। আজ রাজ্যের বনমন্ত্রী রকিবুল হুসেন বলেন, “চালকবিহীন বিমানে ওই জঙ্গলে নজরদারির বিষয়টি কেন্দ্রের অনুমতি পায়নি। তবে, কাজিরাঙার ৫০ কিলোমিটার এলাকায় বিদ্যুৎবাহী নিরাপত্তাবেষ্টনী বসানোর ব্যবস্থা হবে। বনরক্ষীদের আধুনিক অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে দ্রুত নিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।” গতকালের চোরাশিকার নিয়ে বনমন্ত্রী বলেন, “ওই ঘটনায় সম্ভবত জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে।”

মাছ মরে যাওয়ায় মাথায় হাত দুই চাষির
মাছ মরতে শুরু করেছিল মঙ্গলবার সকাল থেকেই। বুধবার সকালের মধ্যে পুকুরের প্রায় সব বড় মাছ মরে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে দুই মাছ চাষির। দুবরাজপুরের মেজে গ্রামের ঘটনা। শালগড়ে নামে ওই পুকুরটিতে মাছ চাষ করতেন রাধেশ্যাম ধীবর ও তপন ধীবর নামে দুই মাছ চাষি। তিনপুরুষ ধরে তাঁরা ওই পুকুরে মাছ চাষ করলেও এই ঘটনা প্রথম। এই দু-দিনে প্রায় আড়াই কুইন্টাল মাছ মরে যাওয়ার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাঁরা বলেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম পুকুরে কেউ বিষ দিয়েছে। কিন্তু ছোট মাছ বাদে শুধু মাত্র বড় মাছ মরতে দেখে সেই ধারনা বদলে যায়। প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছি।” এ দিকে মাছ পচে দুর্গন্ধও ছড়িয়েছে এলাকায়। যতটা সম্ভব মাছ তুলতে পারলেও এখনও বেশ কিছু ২৫০-৫০০ গ্রাম ওজনের মাছ ভাসছে। বালিজুড়ি পঞ্চায়েত প্রধান শিবঠাকুর মণ্ডল বলেন, “পঞ্চায়েতের যা করণীয় সেটা করা হবে।” কেন এমনটা হল? এই প্রশ্নের উত্তরে মৎস্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, দ্রুত জেলা ‘মীন ভবনে’ পুকুরের জল ও মাটি পরীক্ষা করাতে হবে চাষিদের। তবে জেলেদের কেউ কেউ বলছেন, অতিরিক্ত মাছের জন্য অক্সিজেন কমে যাওয়ায় এই বিপত্তি।”

রেশন দোকানে হাতির হামলা
রেশন দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে চাল-গম খেয়ে গেল দুই দাঁতাল। মঙ্গলবার রাতে বিষ্ণুপুর বন বিভাগের বাঁকাদহ রেঞ্জের পিয়ারডোবা গ্রামের ঘটনা। ওই রেশন দোকান মালিক ধীরেন পাত্র বলেন, “রাত ১২টা নাগাদ দেওয়াল ও দরজা ভেঙে দোকানে ঢুকে পড়ে দুই দাঁতাল। খেয়ে ছড়িয়ে নষ্ট করে চাল-গম।” বাঁকাদহের রেঞ্জার বিজয় চক্রবর্তী বলেন, “দুটি হাতি কিছুদিন ধরেই এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমরা নজরে রাখার চেষ্টা করছি। ধীরেনবাবুকে ক্ষতিপূরণের আবেদন জানাতে বলা হয়েছে।” ও দিকে বিষ্ণুপুর থেকে দ্বারকেশ্বর নদ ধরে ওন্দায় চলে যাওয়া ১৫টি হাতির পাল বুধবার ভোরে বেলিয়াতোড়ের জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে বলে বন দফতর সূত্রের খবর। যাওয়ার পথে নদী তীরবতী নিকুঞ্জপুর, খামারবেড়িয়া-সহ একাধিক গ্রামে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

সাপের ছোবলে মৃত্যু
দুই পৃথক জায়গায় সাপের ছোবলে মৃত্যু হল এক শিশু ও এক প্রৌঢ়ার। পুলিশ জানায়, তাদের নাম সূর্য চড়িদার (৭) ও নূপুর শিট (৪০)। সূর্যের বাড়ি তেলুয়া গ্রামে, নূপুর দেবীর বাড়ি তিরোল গ্রামে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সূর্যকে সাপে ছোবল মারে। আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, নূপুরদেবী একটি ঘরে রাখা জ্বালানি আনতে গেলে সাপে ছোবল মারে তাঁকে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.