বিশ্বের প্রথম অভিনব পেশাদার ব্যাডমিন্টন লিগ আইবিএলে সাইনা নেহওয়ালকেও যেন অভিনব ভাবে দেখা যাচ্ছে!
কখনও ‘হায়দরাবাদের নতুন সাইনা’ পি ভি সিন্ধুকে হারিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন মিডিয়ার উপর। জুনিয়র প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ম্যাচ শেষে করমর্দন করছেন বিরক্তি-সহ অন্য দিকে তাকিয়ে! কখনও বিশ্বের দু’নম্বর জুলিয়েন শেঙ্কের বিরুদ্ধে মধুর জয়ের পরেও আম্পায়ারিংয়ের তীব্র সমালোচনা করে বলছেন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রচুর ভুল লাইনকল দেওয়া হয়েছে।
এর পরে আজ সাইনার বোমা, আইবিএলের নিলাম পদ্ধতিকে তাঁরই আদর্শ প্লেয়ার তথা হায়দরাবাদ হটশটস সতীর্থ তৌফিক হিদায়াত সমালোচনা করায় তাঁকে একহাত নেওয়া! পুণে পিস্টন্স-কে হারিয়ে আইবিএলের পয়েন্ট তালিকায় হায়দরাবাদ শীর্ষে থাকলেও টিমের দুই সুপারস্টারের কাজিয়াই বেশি প্রচার পাচ্ছে। কিংবদন্তি ইন্দোনেশিয়ান হিদায়াত হঠাৎই বলেছেন, “টিভিতে প্রথম যখন দেখলাম আমার বেস প্রাইস ১৫ হাজার ডলারেই আমাকে হায়দরাবাদ কিনল, অথচ তুলনায় প্রচুর অনভিজ্ঞ আমার তিন টিমমেট প্রায় দ্বিগুণ দর পেল, সে দিন খুবই খারাপ লেগেছিল। মনে হয়, আইবিএল সংগঠকেরা ব্যাডমিন্টনের বিশ্ব র্যাঙ্কিংকে মাথায় না রেখে নিলাম করেছে। বিদেশি তারকাদের যোগ্য সম্মান দেয়নি। বেসপ্রাইজ নির্ধারণটা বোগাস। আমার এটাই প্রথম আর শেষ আইবিএল। পরের বার আর আসব না।” হিদায়াতের টিমে জয়রাম, তরুণ কোনা-সহ তিন ভারতীয় ২৫ থেকে ৪৬ হাজার ডলার পেয়েছেন।
তিন বারের এশিয়াড সোনাজয়ী হিদায়াতের মন্তব্যের পাল্টা সাইনা বলেছেন, “অবসরের পর ওঁর উচিত হয়নি নিলামে আরও বেশি দর আশা করা। বিদেশি প্লেয়ারদের নিলামে যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগও ভুল। আইবিএলে সর্বোচ্চ দরে (১ লক্ষ ৩৫ হাজার ডলার) বিক্রি হয়েছে কিন্তু বিশ্বের এক নম্বর প্লেয়ার মালয়েশিয়ার লি চং-ই। হিদায়াতের মেনে নেওয়া উচিত, প্রাক্তন প্লেয়ার হিসেবে তিনি যোগ্য দর পেয়েছেন।” সঙ্গে যোগ করেছেন, “এই টুর্নামেন্টটা করা মূলত ভারতে ব্যাডমিন্টনের আরও বেশি প্রসার এবং আরও বেশি ভারতীয় প্লেয়ারকে প্রচারের আলোয় তুলে আনার উদ্দেশ্যে। আইবিএলে প্রচুর বিদেশি খেলছে যারা সুপার সিরিজও জেতেনি। তা হলে কী ভাবে নিলামে বিদেশি প্লেয়ারদের কম দর দেওয়ার কথা ওঠে?”
|