|
|
|
|
|
ডোপিং |
নিষিদ্ধ ওষুধ খেয়ে
৬ মাস
সাসপেন্ড জেসি রাইডার
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
কেলেঙ্কারির শেষ নেই জেসি রাইডারের জীবনে। এ বার তাঁর কেলেঙ্কারির তালিকায় ঢুকে পড়ল ডোপিংও। ডোপ করে ধরা পড়ে ছ’ মাস নির্বাসনের শাস্তিও পেলেন তিনি। তবে ইচ্ছে করে যে ডোপ করেননি, তা বিচারকদের বিশ্বাস করাতে পেরেছেন বলেই ছ’মাসের শাস্তি পেলেন। না হলে দু’বছরের জন্য ক্রিকেট মাঠের বাইরে থাকতে হত তাঁকে।
ক্রাইস্টচার্চের এক পানশালার বাইরে দুষ্কৃতীদের হাতে বেধড়ক মার খেয়ে কোমায় চলে যাওয়ার তিন দিন আগে ২৪ মার্চ ওয়েলিংটন ফায়ারবার্ডস দলের হয়ে স্থানীয় ফোর্ড ট্রফির একটি ম্যাচে খেলার পর যে ডোপ টেস্ট হয়েছিল, তাতেই ধরা পড়ে যান রাইডার। তাঁর নমুনায় ‘১-ফেনিলবুটান-২-অ্যামাইন (পিবিএ)’ এবং ‘এন, আলফা-ডাইথিল-বেনজেনিথানামাইন (ডিইবিইএ)’ পাওয়া গিয়েছে, যেগুলি নিষিদ্ধ রাসায়নিকের তালিকাভুক্ত। কিন্তু রাইডারের বক্তব্য, পারফরম্যান্স ভাল করার জন্য নয়, ওজন কমানোর জন্য তিনি খেলার দু-তিন দিন আগে একটি ওষুধ খেয়েছিলেন। |
|
“এই সাপ্লিমেন্টে কোনও নিষিদ্ধ রাসায়নিক রয়েছে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট খোঁজখবর নিয়েছিলাম। আমি আর আমার ট্রেনার, দু’জনে মিলে ইন্টারনেট ঘেঁটে তা জানার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তাতে কিছু পাইনি। সে জন্যই সাপ্লিমেন্টটা খেয়েছিলাম। তার পরেও যদি এমন ঘটনা ঘটে, তা হলে আমার দুর্ভাগ্য”, নিউজিল্যান্ডের এক টিভি চ্যানেলে বলেন হতাশ জেসি। ১৯ অক্টোবরের আগে যিনি ক্রিকেট মাঠে ফিরতে পারছেন না। কিন্তু দেশের ক্রীড়া সংস্থার ডোপিং নিরোধক বিভাগে এই নিয়ে খোঁজখবর করেননি কেন? এর উত্তরে জেসি বলেন, “এটাই আমার সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে।”
১২ এপ্রিল ডোপ টেস্টের ফল জানার পর চলতি মাসের শুরুর দিকে তাঁকে ডেকে পাঠায় নিউজিল্যান্ড স্পোর্টস ট্রাইবুনাল। সেই শুনানিতেই নির্বাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯ এপ্রিল থেকে তাঁর ছ’মাসের নির্বাসনের মেয়াদ শুরু হয়েছে। ফলে অনেকটা সময়ই রাইডারের ক্রিকেটের বাইরে থাকা হয়ে গিয়েছে। তাঁর নতুন ক্লাব ওটাগোর সঙ্গে চুক্তি শুরু হচ্ছে ১ অক্টোবর। |
|
|
|
|
|