|
|
|
|
সহজ জয় দিয়ে আইবিএল শুরু বিশ্বের এক নম্বরের
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ইন্ডিয়ান ব্যাডমিন্টন লিগ ষষ্ঠ দিনে পৌঁছে বোধহয় তার ইউএসপি-র প্রকৃত সন্ধান পেল। দেশের অভিনব এই পেশাদার ব্যাডমিন্টন লিগ হয়তো পৌঁছে গেল তার সেরা টিআরপি-তেও। কারণ আজই আইবিএলে সুনীল গাওস্করের দল মুম্বই মাস্টার্সের হয়ে কোর্টে পদার্পণ ঘটল বিশ্বের এক নম্বর ব্যাডমিন্টন তারকা লি চং উয়েই-এর। আর গাওস্করের টিমের জন্য ওরলির ন্যাশনাল স্পোর্টস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া-র ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বসে গলা ফাটালেন সস্ত্রীক সচিন তেন্ডুলকর। অজিত আগরকরকে সঙ্গে নিয়ে।
দিল্লি স্ম্যাশার্সের বিরুদ্ধে লি চং প্রথম সিঙ্গলসে জেতার পর কোর্টের ধারে তাঁর সঙ্গে সচিন কিছুক্ষণ কথাও বলেন। বিশ্বের এক নম্বর ব্যাডমিন্টন তারকা আর বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের সেই আলাপচারিতায় মিনিট কয়েক বাদে মুম্বই মাস্টার্সের আর এক মালিক, বিখ্যাত দক্ষিণী অভিনেতা নাগার্জুনকেও যোগ দিতে দেখা যায়। |
ব্যাডমিন্টনে নতুন অতিথি। আইবিএলে মুম্বই মার্স্টাসের
ম্যাচ শেষে লি চংয়ের সঙ্গে সচিন তেন্ডুলকর। ছবি: পিটিআই |
সাইনা, সিন্ধুর পাশাপাশি আইবিএলে খেলছেন মেয়েদের বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে দু’নম্বর জুলিয়েন শেঙ্ক, বর্তমান অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন টাইন বাউন-ও। শেষজন তো মুম্বই মাস্টার্সেই আছেন। তা সত্ত্বেও এ দিনই প্রথম ওরলির স্টেডিয়াম ভরে ওঠে লি চং নামবেন বলে। গুয়াংঝৌয়ে সদ্যসমাপ্ত বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল চলাকালীন স্টেডিয়ামের শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হঠাৎ দীর্ঘক্ষণ খারাপ হয়ে থাকার ধাক্কায় লি চং অসুস্থ হয়ে পড়ে ম্যাচের মাঝপথে ওয়াকওভার দিয়েছিলেন চিনের লিন ডান-কে। “তার পরেই গোটা শরীরে ক্র্যাম্পের জন্য আমি তিন দিনের জন্য কুয়ালা লামপুর ফিরে যাই। পুরো ফিট হয়ে আইবিএলে যোগ দিতে তাই দেরি হয়ে গেল,” স্বীকারোক্তি মালয়েশিয়ান তারকার। শুধু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নয়, পুণে পিস্টন্স আর আওয়াধি ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে দিল্লি ও লখনউয়ে খেলতেও পারেননি লি চং। এ দিন ঘরের মাঠে অবশ্য সতীর্থ মালয়েশিয়ান ডারেন লিউ-কে মোটামুটি স্বচ্ছন্দে ২১-১২, ২১-১৬ হারিয়ে মুম্বই মাস্টার্সকে ১-০ এগিয়ে দেন দিল্লি স্ম্যাশার্সের বিরুদ্ধে। পরে মেয়েদের সিঙ্গলসে টাইন বাউন-ও জেতায় মুম্বই মাস্টার্স শেষ পর্যন্ত ৪-১ হারায় দিল্লি স্ম্যাশার্সকে।
তবে আসল আকর্ষণ লি চং-ই। যিনি আইবিএলে প্রথম শাটল মারার আগেই বলে দেন, “চিনের চেয়ে ভারতের ব্যাডমিন্টন লিগ ভাল। চিনের লিগে আমি দু’বার খেলেছি। কিন্তু এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশি। পরের বছর নিশ্চয়ই আরও বাড়বে।” |
|
|
|
|
|