|
|
|
|
|
দু’জনে দুই ঘরানার,
তাই জুটি হিট করছে দীপ দাশগুপ্ত |
|
বাংলার সামি আহমেদ আর মধ্যপ্রদেশের ঈশ্বর পান্ডে। এই দুই পেসারের মধ্যে যেমন মিল আছে, তেমন অমিলও। দু’জনেই অসম্ভব প্রতিভাবান। কিন্তু আমার চোখে দু’জনে একদম দুই ঘরানার পেসার। দু’জনকেই আমি বেশ কাছ থেকে দেখেছি। সামিকে বাংলা টিমে, আর ঈশ্বরকে পুণে ওয়ারিয়র্সে, আইপিএল সিক্সে।
সামি যেমন উইকেটে হিট করে বল করতে পছন্দ করে। লাইন-লেংথ নিখুঁত রেখে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর ঈশ্বর ঠিক উল্টো। ও সুইং করানোর বেশি চেষ্টা করে। সামি আর ঈশ্বর দু’জন দু’ধরনের পেসার হওয়ায় জুটি হিসেবে ওরা একে অন্যের পরিপূরক। এ রকম একটা পেস জুটি যে কোনও দলের কাছে বিশাল বড় সম্পদ।
সামি-ঈশ্বরের ‘গ্রোথ প্যাটার্নেও’ অদ্ভুত মিল। দু’জনেই গত মরসুমে প্রথম বার টানা রঞ্জি খেলল। দুই পেসারেরই দু’তিন বছর হল ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে। এখানে জাতীয় নির্বাচকদের প্রশংসা করতেই হবে। ওঁরা একদম ঠিক সময়ে দু’জনকে সুযোগ দিয়েছেন। কারণ পেসারদের ‘শেল্ফ লাইফ’ এমনিতেই কম। আর বছর দু’য়েক দেরি করলে হয়তো সামি-ঈশ্বরকে সেই রঞ্জিতেই আটকে থাকতে হত।
দু’জনের বোলিং স্টাইলে যত বেশি তফাত, মানুষ হিসেবে সামি আর ঈশ্বর যেন ততটাই এক ধরনের। দু’জনই খুব কম কথার মানুষ। প্রচণ্ড বিনয়ী, কিন্তু তার ভেতরে কোথাও একটা প্রচণ্ড আগ্রাসন লুকিয়ে থাকে। সামির সম্পর্কে যেমন প্রথম দিকে অনেক বার শুনেছি যে ও নাকি খুব নাক-উঁচু। যেটা একদম ভুল ধারণা। আসলে সামি বেশি কথা বলতে চায় না। লোকের সঙ্গে খুব সহজে মিশতে পারে না। যার জন্য ওকে অনেকেই নাক-উঁচু বলে ধরে নিয়েছিল। ঈশ্বরের ব্যাপারটাও অনেকটা এক রকম।
তা হলে কি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলে এই দু’জনের জায়গা মোটামুটি নিশ্চিত? আমার কিন্তু তা মনে হয় না। আসলে জাহির ফিট হয়ে গিয়েছে। আর দক্ষিণ আফ্রিকায় ভুবনেশ্বরের মতো বোলারকে দরকার আছে। দুটো স্পট তো ওখানে চলে গেল। এর পর ইশান্ত আছে, উমেশ যাদব আছে। দলে ঢোকার লড়াইটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
তবে হ্যাঁ, সিরিজ শুরুর আগে নির্বাচকদের ‘মাথাব্যথা’ বাড়িয়ে দিল সামি-ঈশ্বর। যার থেকে ভাল আর কিছু হতে পারে না! ভারতীয় পেস বোলিংয়ের রিজার্ভ বেঞ্চটা যে মোটামুটি তৈরি হয়ে গিয়েছে, সেটা এ দিন আবার বুঝিয়ে দিল সামিরা। |
|
|
|
|
|