এডওয়ার্ড স্নোডেনের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন গোপন তথ্যের উপর ভিত্তি করে একটি ব্রিটিশ দৈনিকে একাধিক খবর লিখেছিলেন সাংবাদিক গ্লেন গ্রিনওয়াল্ড।
আজ সেই কাগজের সম্পাদক অ্যালান রাসব্রিজার দাবি করেছেন, ওই সব তথ্য ছাপার ‘অপরাধে’ মাস খানেক আগে ব্রিটিশ সরকার আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তাদের। সরকারের তরফে দৈনিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, ওই সব গোপন নথি নষ্ট করে ফেলতে হবে অথবা ব্রিটিশ সরকারকেই দিয়ে দিতে হবে।
সোমবার ওই দৈনিকের ওয়েবসাইটে একটি লেখায় এই খবর জানিয়েছেন দৈনিকটির সম্পাদক নিজেই। গত কালই গ্রিনওয়াল্ডের লিভ-ইন সঙ্গী ডেভিড মাইকেল মিরান্ডাকে জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল হিথরো বিমানবন্দরে।
রাসব্রিজারের দাবি, ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার পরেও সরকারের যোগাযোগ দফতরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দু’জন বিশেষজ্ঞ লন্ডনে তাঁদের অফিসে এসেছিলেন। সেখানকার বেসমেন্টে রাখা কম্পিউটারগুলোতে স্নোডেনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য রাখা ছিল। সেগুলো বিকল করে সব তথ্য নষ্ট করে দেওয়া হয়।
রাসব্রিজারের মন্তব্য, তাদের কাগজকে হুমকি বা গত কাল মিরান্ডাকে ন’ঘণ্টা ধরে জেরার মাধ্যমে একটা বিষয় স্পষ্ট যে ব্রিটেনে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বিপন্ন। তবে ব্রিটিশ সরকার সংবাদমাধ্যমকে যে ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে, এই ডিজিটাল যুগে তার কোনও অর্থই হয় না। রাসব্রিজার জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ব্রিটেনের বাইরে থেকে তারা খবর ছাপবেন। একই ভাবে মিরান্ডার ল্যাপটপ, ফোন, হার্ড ড্রাইভ বা ক্যামেরা আটকে রাখলেও গ্রিনওয়াল্ডের লেখায় তার কোনও প্রভাব পড়বে না।
গত কাল ব্রিটিশ সরকার গ্রিনওয়াল্ডের সঙ্গীকে জেরা করে সংবাদমাধ্যমকে (বিশেষ করে ওই দৈনিকটিকে) এই বার্তাই দিতে চেয়েছে যে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা (এনএসএ)-র প্রাক্তন গুপ্তচর স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্য যাদের হাতে আছে, তা যাতে আর প্রকাশিত হতে নাপারে, সে ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকার যথেষ্ট সতর্ক। গ্রিনওয়াল্ডের সঙ্গীকে আটক করার বিষয়ে আমেরিকারও সায় ছিল বলে দাবি করেছিল ব্রিটিশ প্রশাসন। কিন্তু হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জশ আর্নেস্ট এ দিন বলেছেন, মিরান্ডাকে আটক করার জন্য মার্কিন সরকার কোনও নির্দেশই দেয়নি।
|