সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন বর্ধমান পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদমণ্ডলীর সদস্য আইনূল হক।
সোমবার সিপিএম তথা বামফ্রন্টের মোট ২৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও নিজের পুরনো ওয়ার্ড ৬ নম্বরে আইনূল হক তা দেননি। শেষমেশ মঙ্গলবার তিনি ৩৩ নন্বর ওয়ার্ডের জন্য মনোনয়ন জমা দেন। সোমবার রাতে কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক ৩৫টি ওয়ার্ডে তৃণমূলের যে প্রার্থিতালিকা দিয়েছেন, সেটি অনুযায়ী ওই ওয়ার্ডে প্রাক্তন মেয়রের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন আইনজীবী অরূপ দাস।
আইনূল হকের সঙ্গে এ দিন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সিপিআইয়ের অমিত হাজরা চৌধুরী ওরফে গণেশ। ওই ওয়ার্ডে এর আগে তিনি পরপর দু’বার জিতেছেন। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী স্বরূপ দত্ত। এ দিন মোট ৯ ফ্রন্ট প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেওয়ায় আর মাত্র তিনটি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়া বাকি রইল বাম শিবিরের। মনোনয়ন জমা দিয়ে আইনূল হক দাবি করেন, “এই শহরে আমরা শান্তি এনেছিলাম। নাগরিক স্বাচ্ছন্দের পাশাপাশি নিরাপত্তাও দিয়েছিলাম। সরকার বদলের পরে এই শহর এখন সন্ত্রাসকবলিত। তোলাবাজি চলছে। মানুষের, বিশেষত মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। যদি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়, আমরা আগের চেয়েও বেশি আসন পাব।” |
মনোনয় জমা দিলেন আইনূল হক। |
দীর্ঘদিনের লালদুর্গ বর্ধমান শহরে গত বার ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছিল তৃণমূল। বাকি ৩০টি পায় বামফ্রন্ট। বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলার খোকন দাস বলেন, “বুধবার টাউন হল থেকে ৩৫ জন প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাব আমরা।” বর্ধমান পুরসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে আপাতত তৃণমূলের মধ্যে কোনও গোলমালের খবর প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু গুসকরা নিয়ে জোর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে বলে খবর। জেলার এক মন্ত্রীর কথায়, “গুসকরার প্রার্থী তালিকা তৈরি করে পাঠিয়ে দেওয়া হলেও সেখানকার দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। ফলে ওই তালিকা ফেরত নিয়ে নেওয়া হয়েছে। নতুন তালিকা তৈরি করে পাঠানো হবে।”
গুসকরার তৃণমূল নেতাদের একাংশের দাবি, প্রার্থী তালিকায় নাম থাকলেও গুসকরা পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান চঞ্চল গড়াইকে আর চেয়ারম্যান করা হবে না, এমনই বার্তা এসেছিল দলের কিছু রাজ্য নেতার কাছ থেকে। তাতে বেশ কিছু নেতা-কর্মী ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা ওই প্রার্থী তালিকা মানতে চাননি। বিক্ষোভের মুখে পড়েই তালিকা ফিরিয়ে নিতে হয়েছে।
|