ছোট্ট জর্জ বড্ড দুষ্টু। রাতে মোটেও ঘুমোতে চায় না। জেগে খিলখিলিয়ে হাসে। জাগিয়ে রাখে বাবা-মাকেও। মা কেটের প্রায় সারাটা দিন কেটে যায় ডায়পার বদলাতে বদলাতেই। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই সব অভিজ্ঞতার কথা জানালেন যুবরাজ উইলিয়াম। ছেলে হওয়ার পর থেকে তিনি নিজেও কাজ থেকে ছুটি নিয়ে সঙ্গ দিচ্ছেন স্ত্রীকে। কেট আপাতত রয়েছেন বাপের বাড়িতেই।
হাসপাতাল থেকে বেরোনোর পর কেটের কোলে সদ্যোজাত জর্জ। এই একটিই ছবির সঙ্গে পরিচিত সারা বিশ্ব। জর্জের আর কোনও ছবি প্রকাশ করা হবে না? লাজুক হেসে উইলিয়াম বললেন, “সবাই ওকে দেখতে চান শুনে খুব ভাল লাগছে। প্রথম বাবা-মা হওয়ার পর যে কেউই চায় তাদের ছেলেমেয়েকে সবাই দেখুক। আর প্রশংসা করে বলুক এত মিষ্টি বাচ্চা এর আগে কখনও দেখেনি। এটাই সব চেয়ে আনন্দের।” বললেন, ছেলের অনেক ছবি প্রকাশ করবেন। |
সপরিবার। ছেলে জর্জের সঙ্গে কেট-উইলিয়াম। রয়েছে পোষ্য টিলি-ও। ছবি: এএফপি। |
কেমন লাগছে ছেলের বড় হয়ে ওঠা দেখতে? উইলিয়াম জানালেন, কোথা দিয়ে সময় পেরিয়ে যাচ্ছে বোঝাই যাচ্ছে না। এই ক’দিনের মধ্যেই যেন অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে হাত-পা ছুড়ে আড়মোড়া ভাঙে। মুখ দিয়ে নানা অস্পষ্ট আওয়াজ করে। তবে ভেজা ডায়পার ব্যাপারটা ওর বড্ড অপছন্দের। ছেলের ডায়পার অবশ্য নিজের হাতেই বদলাতে পছন্দ করেন কেট। সঙ্গে সঙ্গেই অকপট স্বীকারোক্তি উইলিয়ামের, মা হিসেবে কেট একদম আদর্শ। তবে জর্জকে ঘুম পাড়াতে নাকানিচোবানি খেতে হয় দু’জনকেই। আর বললেন, ছেলের নানা দুষ্টুমি দেখে কখনও নিজের, কখনও ভাই হ্যারির ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায় তাঁর। তবে কে বেশি দুষ্টু ছিল, সেটা ঠিক মনে নেই। |