নিজের ন্যানিকেই জর্জের জন্য বাছলেন উইলিয়াম
ব্রিটেনের সিংহাসনের তৃতীয় উত্তরসূরির দেখভালের জন্য তলব করে আনা হচ্ছে তার বাবার ন্যানিকেই। যুবরাজ চার্লস আর যুবরানি ডায়ানার দাম্পত্যের ঝোড়ো সময়টায় যে
ন্যানি পরম যত্নে আগলে রেখেছিলেন ছোট্ট উইলিয়ামকে।
জেসিকা ওয়েব নামে সেই ন্যানির বয়স ৭১ ছুঁয়েছে। অবসর ভুলে তাঁকে এখন দায়িত্ব নিতে হবে ২০ দিন বয়সী একরত্তি জর্জের। তেমনই ইচ্ছে খুদের বাবা উইলিয়াম আর মা কেটের। জেসিকে এই প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা দু’জনে মিলে। যদিও এই ন্যানিকেই এক সময় কাজ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন যুবরানি ডায়ানা। সে স্মৃতি ভুলে রাজপরিবার-অনুগত ন্যানি ফিরে আসতে চলেছেন। জেসির উপর অগাধ ভরসা রয়েছে বাকিংহাম প্যালেসেরও।
কেট-উইলিয়ামের ছেলেকে সামলাতে যে কেনসিংটন প্যালেসে আবার ফিরে আসতে চলেছেন জেসি, আশির দশকে সেই প্রাসাদের আবহ অনেকটাই অন্য রকম ছিল।
উইন্ডসর, ১৯৮৮। ন্যানি জেসির সঙ্গে ছোট্ট উইলিয়াম। ছবি: গেটি ইমেজেস
ডায়ানা-চার্লসের বিচ্ছেদ প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠেছে। দিন রাত দু’জনের ঝগড়াঝাটি। কখনও আবার বাক্যালাপ বন্ধ। যখন তখন কান্নায় লুটিয়ে পড়ছেন ডায়ানা। আর এ সব কিছুর সাক্ষী হতে হচ্ছিল সাত বছরের উইলিয়ামকে। সে সব যাতে ছোট ছেলেটার মনে কোনও ছাপ না ফেলে, তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতেন ন্যানি জেসি। উইলিয়াম প্রেপ স্কুলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁকে চোখে চোখে রেখেছিলেন তিনি। জেসির আশ্রয়ে তিনি নিজে যেমন নিশ্চিন্ত ছিলেন, ঠিক তেমন মমতায় জর্জও বড় হোক চান উইলিয়াম।
আপাতত জর্জের সব দায়িত্ব একা সামলাচ্ছেন ডাচেস অফ কেমব্রিজ। সাহায্য করছেন তাঁর মা ক্যারল মিডলটন। কিন্তু মায়ের কাছে বেশি দিন থাকবেন না কেট। গত সপ্তাহেই আবার কাজে যোগ দিয়েছেন উইলিয়াম। এর পরে রাজপরিবারের নানা অনুষ্ঠানে যেতে হতে পারে কেটকে। তাই ছেলে সামলে তিনি সে সব কী ভাবে করবেন, তা নিয়ে চিন্তা ছিল নতুন বাবা-মায়ের। ন্যানি জেসির কথা এই সময়েই মনে পড়ে উইলিয়ামের।
এক সময় কাজ থেকে বরখাস্ত করলেও ডায়ানাই কিন্তু উইলিয়ামের দেখাশোনার জন্য বেছে নিয়েছিলেন জেসিকে। যুবরানির মনে হয়েছিল, রাজপরিবারের কৃত্রিম পরিবেশেও উইলিয়ামের মধ্যে সততা এবং সহানুভূতির মনোভাব গড়ে তুলতে পারেন জেসিকাই। যে সব মূল্যবোধ খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল ডায়ানার কাছে। বিভিন্ন জায়গায় ছেলেকে নিয়ে যখন বেড়াতে যেতেন যুবরানি, পাশে থাকতেন জেসি।
এ হেন ছায়াসঙ্গীকে পাঁচ বছর পরে ডায়ানা কেন তাড়িয়ে দিলেন?
রাজপরিবারের একটি সূত্রের মতে, যুবরানির খেয়াল। হঠাৎই জেসিকে সহ্য হচ্ছিল না। তাঁর মনে হয়েছিল, ন্যানি ছেলেদের বেশি খাওয়াচ্ছেন।
সে সব অবশ্য মনে পুষে রাখেননি জেসি। বিয়ে করেননি। উইলিয়ামকেই ছেলের মতো দেখতেন। দু’ভাইয়ের মধ্যে তাঁকেই পছন্দ করতেন বেশি। তাই কাজ ছেড়ে দেওয়ার বহু দিন পরেও উইলিয়ামের ২১ তম জন্মদিনে এবং রাজকুমারের বিয়েতে উইন্ডসর কাসলে ডাকা হয় তাঁকে। আর এ বার খোদ উইলিয়ামের ছেলের দেখভালের দায়িত্ব পেয়ে অভিভূত জেসি।
রাজপরিবারের অনেকেই মনে করছেন, জর্জের জন্য জেসি একদম আদর্শ। সবাই ওঁকে পছন্দ করে। এখন বয়স হয়েছে, তাই আরও অভিজ্ঞ। উইলিয়ামকে দেখাশোনার সময়ে চালর্স-ডায়ানার মনোমালিন্যের মধ্যে যে ভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে নিজের কাজ করতেন জেসি, তাতেই বোঝা যায় উনি কত ভাল ন্যানি।
বাবার ন্যানি আসবে কবে?
অপেক্ষায় খুদে রাজপুত্তুর জর্জ আলেকজান্ডার লুইস।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.