|
|
|
|
উত্তরের চিঠি |
|
ভবন হয়ে উঠুক রবীন্দ্র-চর্চা কেন্দ্র |
সম্প্রতি বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ এবং হিডকোর যৌথ আয়োজনে রাজারহাট নিউ টাউনের রবীন্দ্র-তীর্থে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৩তম প্রয়াণদিবস উপলক্ষে কবিগুরুর আঁকা চিত্র প্রদর্শনী, দুর্লভ আলোক চিত্র প্রদর্শনী, রবীন্দ্র-গ্রন্থাগার উদ্বোধন ও সন্ধ্যায় পাঠভবনের ছাত্রীদের দ্বারা নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা মঞ্চায়িত হল।
অসাধারণ সে-অভিজ্ঞতা। বিস্তৃত এক পরিসরে পেন্টিং আলোকচিত্র নৃত্যনাট্য আর গ্রন্থ নিয়ে রবীন্দ্রনাথ যেন জীবন্ত।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী রায়চৌধুরী। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্য সরকারের আধিকারিক দেবাশিস সেন।
আচ্ছা, উত্তরবঙ্গেও তো এমন এক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায়। রবিঠাকুর তো আমাদেরও। চিন্তায়-দর্শনে-মননে রবি-অনুগামীর সংখ্যা তো নেহাত কম নয়। তা ছাড়া, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কবির যোগাযোগ নিবিড় ছিল। রবীন্দ্রনাথকে যাঁরা চিনতে চেয়েছেন, তাঁরা জানেন ছিন্নপত্রাবলিতে কবি কত বার নিজেই বলেছেন সে কথা। কত সৃজনকর্ম, কত অবসর বিশ্রামের সঙ্গী এই উত্তর। |
|
উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে কেন |
রবীন্দ্রভবনগুলি যখন গড়ে তোলা হয় তখন রবীন্দ্রচর্চার পীঠস্থান হিসাবে এগুলিকে গড়ার ভাবনাই এর নেপথ্যে ছিল। কিন্তু বাস্তবে কী দেখছি? হাতে গোনা কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-নাটক ছাড়া রবীন্দ্রচিন্তনে অনুপ্রাণিত হওয়ার কোনও উপকরণই এগুলিতে নেই।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনে কাজের সূত্রে নিয়মিত যাওয়ার সুবাদে দেখতে পাই রবীন্দ্র-গ্রন্থ, রবীন্দ্র বিষয়ক গবেষণা প্রবন্ধ, সংগ্রহালয় রবীন্দ্রনাথকে কী নিবিড় ভাবে কাছে পাওয়া যায়। তন্নিষ্ঠ পাঠক, মননশীল গবেষক, একাগ্র শিল্পী, সবার জন্য উত্তরে রবি-দুয়ার, দখিন-জ্ঞান জানলা খুলে দেওয়া হোক। রবীন্দ্রভবনের পরিকাঠামো ও পরিবর্ধন করে তা করা যেতেই পারে। উত্তরবঙ্গ আর কত দিন রবীন্দ্রনাথের থেকে দূরে এক পায়ে দাঁড়িয়ে অবহেলার চর্বিতচর্বণ করবে?
তুহিনশুভ্র মণ্ডল, বালুরঘাট |
|
|
|
|
|