সরকারি স্তরে আলোচনার পরে সবুজ সঙ্কেতও দেওয়া হয়ে গিয়েছে। বিধানসভার অনুমোদন পেলেই রাইস গ্রুপ তাদের প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কাজ শুরু করতে পারবে বলে রবিবার ওই প্রতিষ্ঠানের দশম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই রাইস গ্রুপের ওই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। সরকারি চাকরির বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য রাজ্যের কিছু জেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে রাইস গ্রুপের। এ বার তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার পরিকল্পনা করছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সমিত রায়। সমাবর্তনে ২০১১ সালের ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারী অনুপম খান ও অষ্টম স্থানাধিকারী সত্যজিৎ বিশ্বাসকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাঁরা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। অন্যান্য ক্ষেত্রেও নিজেদের সফল ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দেয় রাইস গ্রুপ। পুরস্কৃত করা হয় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির পরীক্ষায় সফল প্রায় তিন হাজার প্রার্থীকে। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং পরিবহণমন্ত্রী মদনবাবু কৃতীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পার্থবাবু ও ফিরহাদ জানান, এই মুহূর্তে রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে প্রশাসনিকস্তরে কর্মরত অনেকেই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সফল হয়েছেন।
|
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা ধাক্কা খেলেও হিমাচল প্রদেশের কলেজ ভোটে আবার বিপুল জয় পেল এসএফআই। হিমাচল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন এসএফআইয়ের প্রার্থীরা। শিমলার একমাত্র মেয়েদের কলেজ রাজকীয় কন্যা মহাবিদ্যালয়েও জিতেছে এসএফআই। বিভিন্ন কলেজে প্রায় ২০০টি কেন্দ্রীয় আসনের জন্য লড়াই হয়েছিল। তার মধ্যে ৭৪টি পেয়েছে এসএফআই। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধূমলের এলাকা হামিরপুর বা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের জেলা মান্ডির বেশির ভাগ কেন্দ্রীয় আসনেও জয় পেয়েছে তারা। এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সভাপতি ভি শিবদাসনের আশা, ১০ সেপ্টেম্বর তাঁদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের আগে ভোটের এই ফলে পড়ুয়াদের কাছে টানতে সুবিধা হবে। |