পুজোর মাসে রাজ্য সরকারের জোড়া উপহার কন্যাশ্রী ও বেকার ভাতা প্রকল্প। গরিব পরিবারের মেয়েদের স্কুলে যেতে উৎসাহিত করা এবং প্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছর) হওয়ার আগে তাদের বিয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু হচ্ছে ১ অক্টোবর। পাশাপাশি, শিক্ষিত কর্মহীন যুবকদের প্রশিক্ষণ নিয়ে চাকরি অথবা স্বনির্ভর করতে বেকার ভাতা চালু হচ্ছে ৩ অক্টোবর। এর পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে, যুব উৎসাহ প্রকল্প।
রাজ্যের সমাজকল্যাণ দফতর সূত্রের খবর, কন্যাশ্রী প্রকল্পে চলতি আর্থিক বছরে ১৩ লক্ষ মেয়েকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী, বয়স ১৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে এবং পারিবারিক আয় বছরে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত এমন মেয়েদের বছরে ৫০০ টাকা করে বৃত্তি দেবে সরকার। স্কুল-কলেজ থেকে সরকারের যে কোনও প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণরত ১৮ বছরের বেশি অবিবাহিতা মেয়েদের দেওয়া হবে এককালীন ২৫ হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রকল্পের জন্য একটি স্লোগান তৈরি করেছেন। সেটি হল: ‘মেয়েরা আমাদের ঘরের সম্পদ, ভবিষ্যতের অনন্যা/ ওদের নিজ পায়ে দাঁড়াতে দিন, কন্যাশ্রী ওদের প্রেরণা।’ সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের দাবি, “এই প্রকল্পে চলতি আর্থিক বছরে ৯৫০ কোটি টাকা খরচ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে।”
রাজ্য শ্রম দফতরের বেকার ভাতা প্রকল্পে মাসিক ১৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। দফতরের এক কর্তা জানান, রাজ্যের এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নাম লেখানো প্রথম ১ লক্ষ যুবককে প্রথম বছরে ভাতা দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে। ভাতা পাবেন টানা দু’বছর। এ জন্য দরখাস্ত করে তার সঙ্গে নিজেকে কর্মহীন ঘোষণা করে শংসাপত্র দাখিল করতে হবে। এই প্রকল্পে বছরে ১৮০ কোটি টাকা খরচ হবে। ওই কর্তা জানান, বেকার ভাতা দেওয়ার ঘোষণা হতেই এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নাম লেখানোর ধুম পড়ে গিয়েছে। এ পর্যন্ত ১৬ লক্ষ বেকার নাম লিখিয়েছেন। সরকারের এক মুখপাত্র জানান, বাম আমলেও বেকার ভাতা চালু হয়। শেষের কয়েক বছর তা বন্ধ রাখা হয়। আদতে সেই প্রকল্পই নামটুকু বদলে ফের চালু হচ্ছে।
|