নাকতলার হোমে তিন ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ ওঠায় পরিস্থিতি সামলাতে শেষ পর্যন্ত রাজ্যের এক মন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হল। শনিবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সামনে হোম কর্তৃপক্ষ, আবাসিক ছাত্রী ও অভিভাবকদের উত্তপ্ত বৈঠকের পরে হোমের পরিচালন সমিতিতে এ বার থেকে পুর-প্রশাসনের কর্তাদের যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীরামকৃষ্ণ আনন্দ আশ্রম আবাসিক হোমের পরিচালন সমিতিতে এ বার থেকে স্থানীয় পাটুলি থানার ওসি ও পুরসভার বরো চেয়ারম্যানও সদস্য হবেন। সমাজ কল্যাণ দফতরের আধিকারিকেরা প্রতি সপ্তাহে ওই হোম পরিদর্শন করবেন বলেও ঠিক হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্য মন্ত্রীর সামনেই কিছু অভিভাবক গোলমাল শুরু করেন। মন্ত্রী সকলকে শান্ত করেন। পরে তিনি বলেন, “হোম নিয়ে সকলের বক্তব্য আমরা শুনেছি। চেষ্টা হচ্ছে, এর পর থেকে যেন শান্তি বজায় থাকে।” |
কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি) সন্তোষ পাণ্ডে ও পাটুলি থানার ওসি সুপ্রিয় ভট্টাচার্যও এ দিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতা দিবসের সকালে কীটনাশক খেয়ে হোমের তিন আবাসিক ছাত্রীর অসুস্থ হওয়ার রহস্যের অবশ্য এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। ওই তিন ছাত্রীর অভিভাবকদের অভিযোগ, হোমে তাঁদের মেয়েদের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছিলেন কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদ করেন বৈঠকে থাকা কিছু ছাত্রী। এর পরে গোলমাল তুঙ্গে ওঠে।
ছাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, স্বাধীনতা দিবসের ঘটনার পরে অভিভাবকেরা কয়েক জন হোমে ঢুকে তাঁদের মারধর করেছেন। এ দিনের বৈঠকে গোলমাল থামাতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। অসুস্থ তিন ছাত্রীর অভিভাবকদের পুলিশই হোমের বাইরে নিয়ে যায়। বৈঠকের পরে এ দিনই হোমে পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সম্পাদক মাধবী পাহাড়ি বলেন, “অভিভাবক ও ছাত্রীদের দাবি মেনে এই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।” |