আলমারির চাবি হাতিয়ে লক্ষাধিক টাকার গয়না চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক পরিচারিকাকে। ধৃতের নাম পুতুল মান্না। শনিবার নোদাখালি থেকে ধরা পড়ে সে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে কিছু গয়নাও।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে নিউ আলিপুর থানার অদূরে এলআইসি আবাসনের বাসিন্দা পীতম বসুর ফ্ল্যাটে চুরি হয় বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তির অসুস্থ স্ত্রীকে দেখাশোনা করার জন্য বেহালার একটি আয়া সেন্টার থেকে ওই পরিচারিকাকে পাঠানো হয়েছিল।
অভিযুক্ত পরিচারিকার হদিস পেতে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ শনিবার বেহালা, বাখরাহাট, রসপুঞ্জ ইত্যাদি এলাকায় তল্লাশি চালায়। শেষে নোদাখালি থেকে ধরা হয় তাকে। পুলিশের দাবি, আয়া সেন্টারের কাছে ওই পরিচারিকা যে ঠিকানা দিয়েছিল, তা ভুয়ো। যে নাম সে পুলিশকে জানিয়েছে, সেটিও ঠিক কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরিচয়, ঠিকানা যাচাই না করেই কেন ওই আয়া সেন্টার পরিচারিকাকে কাজে রাখল, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পীতমবাবু পুলিশকে জানান, সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ওই পরিচারিকার কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ ওই পরিচারিকা তাঁদের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যায়। যাওয়ার সময়ে তাঁর স্ত্রীকে বলে, অগ্নিদগ্ধ এক আত্মীয়কে হাসপাতালে দেখতে যাচ্ছে সে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ফিরে আসবে। দু’ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পরিচারিকা না ফেরায় তাঁর মোবাইলে ফোন করেন পীতমবাবুর স্ত্রী।
পীতমবাবুর স্ত্রী লিপিকাদেবী পুলিশকে জানান, পরিচারিকা তাঁকে ফোনে জানায়, তার ফিরতে রাত হবে। পরিচারিকার কথা শুনে লিপিকাদেবীর সন্দেহ হয়। তখনই তিনি শোয়ার ঘরে ঢুকে দেখেন, আলমারির চাবি যথাস্থানে নেই। তাতে সন্দেহ আরও বাড়ে। অনেক খোঁজাখুঁজিতেও চাবি না পেয়ে নোড়া দিয়ে আলমারির তালা ভেঙে লিপিকাদেবী দেখেন, আলমারির লকার থেকে তাঁর বিয়ের সব গয়না উধাও। পুলিশ এলআইসি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছে যে, আবাসন ছেড়ে বেরোনোর সময়ে ওই পরিচারিকার হাতে একটি ব্যাগ ছিল।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, পীতমবাবুর স্ত্রীকে দেখাশোনা করতে নিয়মিত যে পরিচারিকা আসতেন, তিনি আসতে না পারায় শুক্রবার ওই পরিচারিকাকে পাঠানো হয়েছিল। ওই ফ্ল্যাটে এর আগে এক দিনই কাজ করেছে সে। যে পরিচারিকা নিয়মিত আসতেন, তিনিই বা কী কারণে আসেননি, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |