আদিত্যপ্রতাপ বর্মার একটা জনস্বার্থ মামলা বোর্ড প্রেসিডেন্টের মসনদে নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের প্রত্যাবর্তনের পথ কঠিন থেকে কঠিনতর করে তুলছে।
আদিত্যপ্রতাপ বর্মার আরও একটা মামলা নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনকে চরমতম সমস্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে। এবং এটা জনস্বার্থ মামলা নয়। তিন বছর আগে বোর্ডের একটি অন্য মামলায় পটনা হাইকোর্টকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে শ্রীনির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার পিটিশন জমা করা হল। যা এ রকম: রেস্টোরেশন অব পার্জারি পিটিশন।
সুপ্রিম কোর্টে বোর্ড বনাম বিহার ক্রিকেট সংস্থার লড়াইয়ের মধ্যেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আরও একটা মামলা ঠুকে দিয়েছেন বিহার সংস্থার সচিব আদিত্য! যেখানে শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে আদালতকে প্রতারণা করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, তিন বছর আগে পটনা হাইকোর্টকে একটা মামলায় মিথ্যে তথ্য দিয়ে ঠকিয়েছিলেন শ্রীনি। কলকাতার আইনজীবী মহলের মনে হচ্ছে পার্জারি যখন বলা হচ্ছে, ব্যাপারটা ফৌজদারি মামলা।
ঠিক কী হয়েছিল? আদিত্য বর্মার বক্তব্য, বছর তিনেক আগে পটনা হাইকোর্টে বিহার ক্রিকেট সংস্থা বনাম বোর্ডের এক মামলার প্রেক্ষিতে আদালত বোর্ডের কাছে প্রশ্ন রাখে যে, বোর্ডে কোনও রাজ্য সংস্থার সদস্যপদ মঞ্জুর করতে হলে সেই সংস্থার সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন লাগে কি না? অভিযোগ, আদালতের প্রশ্নের জবাবে যে হলফনামা শ্রীনি-র তরফ (শ্রীনি তখন বোর্ড সচিব) থেকে তখন পেশ করা হয়, তা সর্বৈব মিথ্যে। আদালতে নাকি বলা হয়, বোর্ড সংবিধানে ওই নিয়ম আগে ছিল। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৭ থেকে সেই আইন সংশোধিত হয়েছে। বোর্ডে কোনও রাজ্য সংস্থার সদস্যপদের জন্য সোসাইটি রেজিস্ট্রেশনের দরকার নেই।
শুক্রবার রাতে ফোনে উত্তেজিত আদিত্য বলছিলেন, “আমার হাতে কাগজপত্র আছে। কোনও নিয়ম সংশোধন হয়নি। সংশোধন যা হয়েছে সেটা আইপিএল নিয়ে। শ্রীনি আদালতকে মিথ্যে বলেছে।” সুপ্রিম কোর্টের আগে পটনা হাইকোর্টে দু’বছর আগে প্রতারণার এই মামলা তুলেছিলেন আদিত্য। কিন্তু তাঁর আইনজীবী অসুস্থ হয়ে পড়ায় আবেদন খারিজ করা হয়। ২০১১ সালে ওই ঘটনার পরপর সুপ্রিম কোর্টে যান আদিত্য। সুপ্রিম কোর্ট থেকে নাকি তখন বলা হয়, মামলা পুনর্বহালের নির্দেশ পটনা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে নিয়ে আসতে। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখে দেওয়ায়, আবার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা করেছেন বিহার সংস্থার সচিব।
সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা ১৩ অগস্ট তোলা হয়েছে। এখনও শুনানির দিন পাওয়া যায়নি। চেষ্টা হচ্ছে সেটা ২৯ অগস্টই তুলতে। যে দিন বম্বে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বোর্ড যে মামলা করেছে সুপ্রিম কোর্টে, তার শুনানি আছে। কিন্তু পটনা হাইকোর্ট যে মামলা খারিজ করেছে, সেখানে কতটা আশা থাকছে? এ বার আদিত্যর জবাব, “একবার মামলাটা নিতে দিন সুপ্রিম কোর্টকে। শ্রীনিবাসন মজা টের পাবে। আর জনস্বার্থ মামলাটার রায়ে আজ আমরাও একটা স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন করে এসেছি সুপ্রিম কোর্টে। বলে এসেছি, আইপিএল সিক্সের গড়াপেটার তদন্ত করতে কোনও কমিশন তৈরি করতে হলে, সেটা যেন সুপ্রিম কোর্টই করে।” |