কপিল দেবের মতো ক্রিকেট কিংবদন্তি যাঁর হাতে তৈরি সেই দেশপ্রেম আজাদ আর নেই। কিছু দিন রোগভোগের পর শুক্রবার মোহালির কাছে এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। রেখে গেলেন স্ত্রী ও দুই পুত্রকে। কপিল ছাড়াও তাঁর হাতে তৈরি চেতন শর্মা, অশোক মলহোত্র ও যোগরাজ সিংহ।
গুরুর মৃত্যুতে শোকাহত কপিল এ দিন বলেন, “ক্রিকেটজীবনে যা কিছু করেছি, তাতে আজাদস্যরের অবদান অনেক। ক্রিকেটজীবনের একেবারে শুরু থেকে উনি আমাকে কোচিং দিয়েছেন। যে দিন প্রথম স্টেডিয়ামে পা রেখেছিলাম সে দিন থেকেই ওঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। কোচের চেয়ে বেশি আমার বন্ধুর মতো হয়ে উঠেছিলেন উনি।” |
মাত্র চোদ্দো বছরে, নবম শ্রেণির ছাত্র আজাদ প্রথম রঞ্জি ম্যাচ খেলেন। ১৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। ১৯৫৩-’৭৩ কুড়ি বছরে খেলেছেন দক্ষিণ পঞ্জাব ও হরিয়ানার হয়ে। এবং তার মধ্যেই ৬১-তে এনআইএস থেকে কোচিং ডিগ্রি নেন আজাদ। তার পর থেকে তাঁর একের পর এক বিশ্বমানের ক্রিকেটার গড়ার অভিযান শুরু। খেলাধুলোয় কোচিংয়ে দেশের সর্বোচ্চ সরকারি সম্মান দ্রোণাচার্য পুরস্কারও পান তিনি। চণ্ডীগড়ে নিজস্ব ক্রিকেট অ্যাকাডেমি চালাতেন আজাদ। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ছিলেন পঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থার সমস্ত অনাবাসিক অ্যাকাডেমির পরিচালক।
কপিল দেব একবার এক পুরস্কার অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “কপিলের ক্রিকেট-গুরুর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন পঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি আই এস বিন্দ্রা। যুবরাজ সিংহ টুইটারে শোকজ্ঞাপন করে লিখেছেন, “আজাদ স্যরের মৃত্যুর খবর দুঃখজনক। উত্তর ভারতের বহু ক্রিকেটারকে তৈরি করেছেন তিনি।” |